ভিডিও

তীব্র উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ১০:০৪ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১১:৩৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের মাটিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হামলা চালানো হলে তার পরিণতিতে ভয়াবহ ও কঠোর জবাব দেবে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি, সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুল রহিম মুসাভিসহ শীর্ষ নেতারা এমন সতর্কতা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাল্টা জবাব দেবে ইরান।

এ জন্য ইরানের সেনাবাহিনী প্রস্তুত। ফলে এই হামলা-পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সমূহ আশঙ্কাকে মাথায় রেখেই বিশ্বনেতারা, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে ইসরাইলকে। কিন্তু উগ্র ইসরাইল কারো কথায় কান না দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এখন আতঙ্কের বিষয়, ইরান এর কি জবাব দেয় বা কিভাবে দেয় সেটা। সবাই সতর্ক ও আতঙ্কিত। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইছেন না।

কারণ, ইসরাইল ও ইরান শুধু দুটি দেশই নয়। তাদের মিত্ররাও বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক মেরুকরণ করা। ইসরাইল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলা হলে তাতে জড়িয়ে যাবে এই বিপরীত মেরুর রাজনৈতিক পক্ষ। ইরান বলছে, তিনটি ছোট আকারের উড়ন্ত অজ্ঞাত বস্তুকে স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ইসফাহানের আকাশে দেখা গেছে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা শনাক্ত করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এই স্থানটি হলো ইসফাহান প্রদেশে ইরানের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি বরাবর। সেটা দেশটির সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, রেভ্যুলুশনারি গার্ড ব্যবহার করে না। এই ঘাঁটিতে আছে এফ-১৪ টোমক্যাট যুদ্ধবিমানের অনেক সংগ্রহ। এই স্থাপনাটি ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছেই। এসব ঘটনার পর ইরানের আকাশসীমাকে পরিষ্কার ও নিরাপদ করেছেন কর্মকর্তারা। তবে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করা হয়েছে। তবে তেহরানের কর্মকর্তারা হামলার খবরকে মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেছেন, ইসফাহানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইরানে হামলার রিপোর্ট হলো ইসরাইল ও আমেরিকান মিডিয়ার প্রচারণা ছাড়া কিছু নয়। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে।

প্রশ্ন উঠছে- ইসফাহান শহরটিকে কেন টার্গেট করল ইসরায়েল। মূলত ইসফাহান শহরটি ইরানের ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত। ইরানের সেই হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা ইসরায়েল আগেই দিয়েছিল এবং এরপর থেকে ইরান উচ্চ সতর্কতায় ছিল। শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ইরানের এই শহরটিকে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এখানে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়া ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জসহ ইসফাহান প্রদেশে বেশ কয়েকটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত।

এটি ইরানের সর্ববৃহৎ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে প্রায় চার ঘণ্টার পথ বা ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) দূরে অবস্থিত ইসফাহান শহরটি পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক বিমানঘাঁটির আবাসস্থল। এছাড়া এখানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের বিশাল কমপ্লেক্সও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের হামলার খবরের মধ্যে ইরান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। ইরান বেশ কয়েকটি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাটারি নিক্ষেপ করেছে। এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা আরবিতে বলা হয়েছে, ‘বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন’ নামিয়ে আনা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS