আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন সিনেটে ইসরায়েল, ইউক্রেন এবং তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিল পাস হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বহুল আলোচিত বিলটি পাস হয়। রিপাবলিকান কট্টরপন্থীদের তীব্র আপত্তির পরেও ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করতে বড় ধরনের এই সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেওয়া হলো।
কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং তাইওয়ানের জন্য সামরিক সহায়তাসহ ৯৫ বিলিয়ন বা সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট।
গতকাল মঙ্গলবার সিনেটে সহজেই পাস হয় বৈদেশিক সহায়তা বিল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আলাদা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিলে অনুমোদন দেয়। বিলগুলো অনুমোদিত হয় ৭৯-১৮ ভোটে।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রাভিযান ও কিয়েভের সামরিক সরবরাহে ঘাটতির মধ্যে এ বিল অনুমোদন ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইনটিতে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সামরিক সহায়তা প্যাকেজে, ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলারের সহায়তা খুব শীঘ্রই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিতে বিতরণ করা হবে।
অন্যদিকে, গাজায় গণহত্যা চালানো দখলদার দেশ ইসরায়েলের বরাদ্দ জন্য দেয়া হয়েছে ২৬.৪ (২ হাজার ৬০০ কোটি) বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া, তাইওয়ানসহ এশিয়া প্যাসিফিকের মিত্রদের জন্য ৮.১ (৮১২ কোটি) বিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়া সংক্রান্ত বিল দুটি নিয়ে অনেক দিন ধরে নানা মহলে আলোচনা–সমালোচনা চলছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপে ছিলেন। এখন সিনেটও বিলগুলো অনুমোদন দিল।
অনুমোদনের পরবর্তী ধাপ হিসেবে বাইডেনের সইয়ের জন্য বিলগুলো তাঁর কাছে পাঠানো হবে। তাঁর সইয়ের পর বিল আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক এবং মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।