আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায়।
আজ রোববার (৫ মে) এক বৈঠকের পর ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্কটি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও আল জাজিরার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি বলেন, উসকানি দেওয়ায় আল জাজিরা বন্ধ করা হবে। আমার সরকার সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যার খবর নিষ্ঠার সঙ্গে তুলে ধরায় অনেকদিন ধরেই আল জাজিরা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে নেতানিয়াহু সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েল দাবি করে, গাজায় বিমান হামলায় নিহত আল জাজিরার সাংবাদিক ও একজন ফ্রিল্যান্সার ‘সন্ত্রাসী কর্মী’ ছিলেন।
তবে আল জাজিরা ইসরায়েলের অভিযোগ নাকচ করে দেয়। তাদের দাবি, গাজা উপত্যকায় পরিকল্পিতভাবে তাদের কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে গত ১ এপ্রিল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের লক্ষ্যে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলা হয়। ৭০-১০ ভোটের ব্যবধানে প্রস্তাবটি পাস হয়। আল জাজিরাসহ বিদেশি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।