আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্পত্তি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের জেরে স্বামীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী তার স্বামীকে তিন দিন ধরে এভাবে শিকলে বেঁধে রেখেছিলেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
বর্বর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার আম্বেদকর নগরে। গত শনিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষ্ঠুর এক ঘটনায় ৪৫ বছর বয়সী এক নারী সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে তেলেঙ্গানার আম্বেদকর নগরে বাড়িতে তিন দিন ধরে তার স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৫০ বছর বয়সী পত্তি নরসীমা ও তার স্ত্রী ভরতাম্মার মধ্যে প্রায়শই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলত। তাদের সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে, দুই ছেলে। অভিযোগ, স্ত্রীর নামে থাকা জমিতে নরসীমা বাড়ি তৈরি করেন। বাড়ি নরসীমার নামেই হয়। তবে বাড়িটি তৈরি করার সময় তার যে ঋণ হয়েছিল তা পরিশোধ করার জন্য ও এর পাশাপাশি নানা দেনার কারণে ভরতাম্মা স্বামীকে বাড়ি বিক্রির জন্য চাপ দিতে থাকেন। আর তা থেকেই শুরু হয় অশান্তির।
অভিযোগ করা হয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি তুঙ্গে উঠলে নরসীমা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তবে কোথায় তিনি গেছেন, কাউকে তা বলে যাননি তিনি। এরইমধ্যে স্ত্রী জানতে পারেন ভুবনগিরি জেলায় রয়েছেন স্বামী। পরে গত ৩০ এপ্রিল সন্তানদের নিয়ে সরাসরি ভরতাম্মা হাজির হন স্বামীর কাছে এবং তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। আর সেখানেই টানা তিনদিন স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয়রা গোপনে তাদের মোবাইল ফোনে এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন এবং সাবেক একজন এমপিটিসি সদস্যকে জানান। আর তিনিই পরে পুলিশের কাছে গিয়ে এই ঘটনার কথা জানান। পরে পুলিশ তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর পর নরসীমাকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারী এবং তার সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।