আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন মতে বহুল আলোচিত ফৌজদারি মামলাটির শুনানিকালে বিচারক হুয়ান মারচান বলেছেন, সাক্ষিদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সাবেক প্রেসিডেন্টকে এবার কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন তিনি। মামলার সাক্ষিদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এরই মধ্যে ট্রাম্পকে ৯ বারে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। বিচারক মারচান বলেন, সোমবার শুনানিকালে ট্রাম্প আরও একবার অর্থাৎ দশমবারের মতো একই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন। এবার আর জরিমানা নয়, কারাদাণ্ডের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে করে গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। সেই থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শুনানি চলছে।
আদালতে রাষ্ট্রীয় আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং দোষি সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্টও হতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।