তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান হামাসের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, হামাস যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, আমি আশা করছি যে ইসরাইলও তা মেনে নেবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বক্তৃতায় এরদোগান পশ্চিমা দেশগুলোকে চুক্তিটি মেনে নিতে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোরও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসের বিবৃতিকে স্বাগত জানাই যে তারা আমাদের পরামর্শে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। এখন ইসরাইলকেও একই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ অপর এক খবরে বলা হয়, বাইজেন্টাইন আমলের একটি চার্চকে মসজিদে রূপান্তর করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। প্রাচীন অর্থোডক্স এই চার্চটি অবস্থিত ইস্তাম্বুলে। একে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। সোমবার তা মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এরদোগান।
২০২০ সালে তিনি এই চার্চকে মসজিদে রূপান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এর নাম দেয়া হয়েছে কারিয়ে মসজিদ। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে তিনি চার্চটিকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিলে বেশ বিতর্ক হয়। একই ঘটনা ঘটেছিল ইউনেস্কো সুরক্ষিত হাজিয়া সোফিয়া ক্যাথেড্রালকে মসজিদে রূপান্তরের ফলে। প্রথমে ক্যাথেড্রাল থেকে এটাকে মসজিদ করা হয়েছিল। তারপর জাদুঘর বানানো হয়। আর শেষবার তাকে আবার মসজিদে রূপান্তর করা হয়। এরদোগানের এসব পরিবর্তনকে দেখা হয় তার অধিক রক্ষণশীল এবং জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের ধরে রাখার উদ্যোগ হিসেবে। কিন্তু তাতে অর্থোডক্স এবং ক্যাথেলিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে কারিয়ে মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন এরদোগান।
এ সময় মসজিদের ভেতরের ছবিতে দেখা যায়, একজন মুসল্লি সেখানে তুরস্কের পতাকা দোলাচ্ছেন। এরপর সেখানে মুসল্লিদের সমাবেশ হয়। তারা লাল রঙের কার্পেটের ওপর জোহরের নামাজ আদায় করেন। ছবিতে দেখা যায় দেয়ালে দুটি কার্ভড মোজাইক পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। বাকি সব মোজাইক উন্মুক্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।