আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টে লাইক দেওয়ায় ভারতের মুম্বাইয়ের সোমাইয়া স্কুলের অধ্যক্ষ পারভিন শেখকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হামাসপন্থী, ইসলামপন্থী ও হিন্দুবিরোধী মতামতকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) সামাজিক মাধ্যমে এক্সে এক বিবৃতিতে সোমাইয়া স্কুল র্কর্তপক্ষ জানায়, সামাজিক মাধ্যমে পারভীন শেখের যে কার্যক্রম তা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধের পুরোপুরি উল্টো। ফলে তার এই কার্যক্রম ঘিরে যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে এই স্কুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছেদ করা হয়েছে।
তবে স্কুল কর্তপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও অন্যায্য বলে দাবি করেছেন পারভীন শেখ। এমনকি আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। পারভিন শেখ এনডিটিভিকে বলেন, ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে বরখাস্তের নোটিশ পাওয়ার আগেই সামাজিক মাধ্যমে আমার পদত্যাগের খবর জেনে আমি হতবাক হই। আমাকে বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।
আমার বিরুদ্ধে আনীত মানহানিকর মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে আমার কাজ দুর্দান্ত। কিন্তু এই (তুচ্ছ) কারণে আমাকে চাকরিচ্যুত করা অন্যায় ও অন্যায্য। ১২ বছর ধরে স্কুলের সুনাম বৃদ্ধিতে আমার কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও আন্তরিক অবদান থাকা সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ পাশে না দাঁড়ানোয় আমি হতাশ।
প্রায় ১২ বছর ধরে সোমাইয়া স্কুলের সঙ্গে যুক্ত পারভিন শেখ। সাত বছর আগে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টের জন্য তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। এমনকি গত সপ্তাহে তার কাছ থেকে এই বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা পর্যন্ত তলব করে সোমাইয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পারভিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে। আমি আমাদের আইনি ব্যবস্থা ও ভারতীয় সংবিধানে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি। আমি এখন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।