আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে মার্কিন বিমানবাহিনীর এক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) নিহত ওই কর্মকর্তার পরিবারের একজন আইনজীবী এ খবর নিশ্চিত করে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এপি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটি নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ওই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে যায়। কিন্তু ভুলে পুলিশ ওই কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তার ইউনিটে ঢুকে পড়েন। ওই বিমান কর্মকর্তার হাতে একটি বন্দুক দেখতে পেয়েই নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। ওই সময় তিনি বাড়িতে একা অবস্থান করছিলেন। নিহত ওই বিমানকর্মকর্তার নাম রজার ফোর্টসন। ২৩ বছর বয়সী ফোর্টসন হার্লবার্ট ফিল্ডের বিশেষ অপারেশন শাখায় ছিলেন। শুক্রবার (৩ মে) যখন তাকে গুলি করা হয় তখন তিনি ফোর্ট ওয়ালটন বিচে তার অফ-বেস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন।
এক বিবৃতিতে নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, মার্কিন পুলিশ যখন ফোর্টসনকে হত্যা করে তখন তিনি এক নারীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন। ক্রাম্পের মতে ওই নারী তাকে বলেন, ফোর্টসন যখন তার দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনতে পান তখন তিনি অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন। তিনি জানতে চান বাইরে কে? কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। এর কয়েক মিনিট পরে, ফোর্টসন জোরে ধাক্কা দেয়ার শব্দ শুনতে পান। এমনকি দরজায় পিপহোলে তাকিয়েও কাউকে দেখতে পাননি।
ওই নারী আরও বলেন, ‘ফোর্টসন উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তিনি বন্দুক নিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন।’ ফোর্টসন আইনত ওই বন্দুকের মালিক ছিলেন বলে জানান আইনজীবী। ক্রাম্পের বিবৃতি অনুসারে, ‘ফোর্টসন তার বসার ঘরে ফিরে যাওয়ার সময়, ডেপুটিরা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বন্দুক হাতে দেখে ছয়টি গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফোর্টসন।’
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ফোর্টসন একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।