পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের জাতিসংঘের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা। বৃহম্পতিবার (৯ মে) কার্যালয়টির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গনে একটি ভবনের আগুন দেন তারা। এসময় প্রাঙ্গণের বাইরে একটি ভিড় ‘জাতিসংঘকে পুড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলো। এ ঘটনার পরই কার্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইউএনডব্লিউআরএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে লাজারিনি বলেছেন, যথাযথ নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত প্রাঙ্গনটি বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়।
একে ‘একটি আপত্তিজনক ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন লাজারনি। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মীদের জীবন আবারও একটি গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল।’
ঘটনার সময় সংস্থাটির কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন লাজারিনি। তবে এতে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।লাজারিনীর পোস্টের শেয়ার করা ফুটেজে প্রাঙ্গনের এক প্রান্তের একটি বিল্ডিংয়ের কাছে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলি সরকারের উদ্দেশে লাজারনি বলেছেন, ‘একটি দখলদার শক্তি হিসেবে জাতিসংঘের কর্মী এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোর সর্বদা সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসরায়েল রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
লাজারিনি জানান, ঘটনার সময় একটি ভিড় কম্পাউন্ডের বাইরে ‘জাতিসংঘকে পুড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলো।
ইসরায়েলি পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধের সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বা যেতে বাধ্য হয়েছিল এমন ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুতদের সাহায্য করার জন্য ইউএনডব্লিউআর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংস্থাটির জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। এটিকে বন্ধ করার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তবে তাদের এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ।
পুরো জেরুজালেমকে দেশটির অবিভাজ্য রাজধানী হিসেবে দাবি করে ইসরায়েল। এর মধ্যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় দখল করা জেরুজালেমের পূর্ব অংশগুলোও রয়েছে। এই অংশগুলোকে আবার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে দাবি করেন ফিলিস্তিনিরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।