আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার উপত্যকার দক্ষিণী শহর রাফাহতে ইসরায়েলের সর্বাত্মক স্থল আক্রমণ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল না করে আরও ‘অরাজকতা’ উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি-এর ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্লিংকেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের চেয়েও বেসামরিক লোককে বেশি হত্যা করেছে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিবৃতির সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ব্লিংকেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরাও তাই মনে করি।’
ইসরায়েল এখনও রাফায় অবস্থানরত প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনির সুরক্ষার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্য রকমভাবে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে। তবে হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না। ব্লিংকেন আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা ইতোমধ্যে উত্তর গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে যেগুলোকে ইসরায়েল ‘মুক্ত করেছিল’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতে আদেশের উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করতে এবং রাফাতে সর্বাত্মক আক্রমণ এড়াতে ইসরায়েলের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শেষে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাজায় এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিন কী হবে তার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনাও দেখিনি। আমরা একটি স্থায়ী ফলাফল পাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আরও ভালো উপায় সম্পর্কে কথা বলেছি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।