যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে (প্রতিনিধি পরিষদ) ইসরায়েলে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্র পাঠাতে বিল পাস হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্য এ ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে তার নিন্দাও করেছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব চলার পর সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ দেন জো বাইডেন। ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বরাবরই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এ শহরটিতে সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য ছিল, রাফায় হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে হলে রাফায় অভিযান চালানো জরুরি। এই নিয়ে মতবিরোধের এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান পাঠানো স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন বাইডেন।
তবে বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছেন বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা। তার ধারাবাহিকতাতেই গতকাল বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধিরা ‘ইসরায়েলি সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স সাপোর্ট অ্যাক্ট’ নামের সেই বিলটিতে উত্থাপন করেন এবং প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ জন সদস্যের মধ্যে সেটির পক্ষে ভোট দেন ২২৪ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১৮৭ জন জনপ্রতিনিধি। পক্ষে ভোটদাতাদের মধ্যে রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটির পার্টির ১৬ জন জনপ্রতিনিধিও ছিলেন।
অবশ্য বিলটি পাস হলেও সেটির আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ কোনো বিলের আইনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর আবশ্যক; আর বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েলের বর্তমানে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিলে স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা খুব কম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।