আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে নিহত প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সঙ্গীদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। বুধবার (২২ মে) সকালে ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে তাদের আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ নেন অগণিত শোকার্ত জনতা। এর আগে, মঙ্গলবার তাবরিজ এবং কোম শহরে নিহতদের পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় তেহরানের গ্রান্ড মোসাল্লায়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে। ওই শহরেই ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার অবস্থিত।
গত রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার সহযাত্রীরা। পথিমধ্যে পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি। সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। পুরো হেলিকপ্টার ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।