আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় শিবিরে ৪৫ জন নিহত হন। এদের প্রায় সবাই নারী ও শিশু। এ ঘটনায় একসঙ্গে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব ।
রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার রাতে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিবিরে আগুনের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছিল। হামলার সমালোচনা করে ইসরায়েলের ইউরোপীয় মিত্র ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা রাফাহ হামলায় ক্ষুব্ধ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এক্স-এ পোস্ট করেছেন, ‘এই অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাফাহতে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য কোনো নিরাপদ এলাকা নেই। আমি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি পূর্ণ সম্মান এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় প্যারিসে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল পোস্ট করেছেন, ‘রাফাহ থেকে ইসরায়েলি হামলায় ছোট শিশুসহ কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবরে আতঙ্কিত। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রসেটো বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে ইসরায়েল ঘৃণা ছড়াচ্ছে, ঘৃণাকে শিকড় দিচ্ছে যা তাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জড়িত করবে।’ আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান মুসা ফাকি মাহামত বলেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র দায়মুক্তির সাথে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের অবমাননা করে চলছে।’
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তর বিমান হামলায় শিশুসহ পোড়া মৃতদেহের ছবিকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছে। এক পোস্টে তারা বলেছে, ‘সঠিক পরিস্থিতি অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে।’ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘এই ভয়াবহতা বন্ধ করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।