আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রূপরেখার প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার (৩ জুন) একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রস্তাবটি পাস হতে কমপক্ষে ৯টি ভোটের প্রয়োজন হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চীন বা রাশিয়ার ভেটো থাকা যাবে না। খসড়া প্রস্তাবে হামাসকে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণ করার এবং ‘দেরী না করে ও কোনো শর্ত ছাড়াই’ যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তগুলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে-চুক্তিতে পক্ষগুলো একবার সম্মত হলেই শর্তাবলী মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজার রাফাহতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলজেরিয়ার আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করার এক সপ্তাহ পরেই এবার নতুন প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য তিন ধাপের ইসরায়েলি চুক্তির প্রস্তাব প্রকাশ্যে আনেন। বাইডেন জানান, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড সোমবার (৩ জুন) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে এই চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’ মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মার্কিন প্রস্তাবটি গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই চুক্তির সমর্থনে এক কণ্ঠে কথা বলতে হবে।’
এদিকে জি-৭ নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিকে পুরোপুরি সমর্থন করেন। সৌদি আরব, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গাজা পরিস্থিতি ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করা জরুরি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।