আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। গত তিনদিনে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। আর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদিকে, একের এক হামলার জন্য প্রতিবেশী পাকিস্তানকে দায়ী করেছে দিল্লি। খবর : রয়টার্স।
হঠাৎ করেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। যাত্রীবাহী বাসে হামলা থেকে শুরু করে সেনাঘাঁটি-গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক হামলায় কাশ্মীরজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। অব্যাহত হামলায় চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসন। এ অবস্থায় অঞ্চলটিতে শুরু হয়েছে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান। বুধবার (১২ জুন) কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অত্যাধুনিক অস্ত্রের পাশাপাশি অস্ত্রধারীদের গোপন আস্তানার সন্ধান পায় নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরে হঠাৎ অস্ত্রধারীদের হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের দাবি, প্রতিবেশী দেশ থেকে কাশ্মীরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে।
জম্মুর পুলিশ প্রধান আনন্দ জেইন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী এখানকার সুন্দর একটা পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। আর এ জন্যই নতুন করে এসব ঘটনা ঘটছে।ভারতের এমন অভিযোগের বিষয়ে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটি। আর পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে শান্তি ফিরবে না বলে মনে করেন অঞ্চলটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ। তার ভাষ্য, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা করছি না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ এই সন্ত্রাসীরা সীমান্তের ওপার থেকে আসছে। যেটা এখনো অব্যাহত আছে।’
২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় বিজেপি সরকার। এর জেরে জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয় চরম অস্থিরতা। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দেখা দেয় কূটনৈতিক উত্তেজনা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।