ভারতের আসাম থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ জন।
সোমবার (১৭ জুন) পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের দার্জিলিং জেলায় ঘটা এ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীলদের ভুলের কারণে ট্রেনের মধ্যে দুঘটনা ঘটে। দেশটিতে প্রতি বছর শতাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হচ্ছে।
দার্জিলিং জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, উদ্ধারকর্মী এবং ডাক্তারসহ স্থানীয়রা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। এছাড়া ট্রেনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেয়ার কাজও করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, আসামের শিলচর থেকে কলকাতার শিয়ালদহ যাওয়ার সময় নিউ জলপাইগুড়ির কাছাকাছি রাঙ্গাপানি স্টেশনের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে একটি মালবাহী ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তথ্যানুসারে, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অতিক্রম করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয়। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা টিম ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দিল্লির রেলওয়ে ওয়ার রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।
দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ সময় পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন। দুর্ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল যখন আবহাওয়া বৈরী এবং বৃষ্টি হচ্ছে। তাই উদ্ধার তৎপরতা খানিকটা বিলম্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।