পোল্যান্ডে কিছু বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি। এই ঘটনা পারস্পরিক সহযোগী সম্পর্কের পরিপন্থী বলে সোমবার (১৭ জুন) মন্তব্য করেছে পোল্যান্ডের সীমান্ত বিষয়ক দপ্তর। জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডিডাব্লিউ এ খবর জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের সীমান্ত বিষয়ক দপ্তর সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছে, জার্মানি যেভাবে কিছু বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে তা পারস্পরিক সহযোগী সম্পর্কের পরিপন্থী।
জার্মানির অভিযোগ, পোল্যান্ডের সীমান্ত দিয়ে তারা জার্মানিতে ঢুকেছিল। কিন্তু তাদের কাছে জার্মানিতে ঢোকার এবং থাকার কাগজপত্র ছিল না।
সে কারণেই গত শুক্রবার তাদের ফের পোল্যান্ডে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। জার্মানি জানিয়ে দেয়, ওই আফগান পরিবারটি জার্মানিতে থাকতে পারবে না।
জার্মানির দাবি, তাদের কাছে যে কাগজ ছিল তাতে পোল্যান্ডে অভিবাসন চেয়েছে তারা, জার্মানিতে নয়। সে কারণেই তাদের পোল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু জার্মানির এই দাবি মানছে না পোল্য়ান্ড। বিষয়টি দুই দেশের শীর্ষ নেতা স্তরে পৌঁছেছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এই সপ্তাহেই ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সভায় তারা যোগ দেবেন। সেখানেইে এ বিষয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোল্যান্ডের এক সরকারি মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে আলোচনায় বসবে। তবে আলোচনার আগে জার্মানি সরকারিভাবে জানিয়েছে, তারা পোল্যান্ডের সঙ্গে কাগজপত্র বিনিময়ের মাধ্যমেই ওই পরিবারটিকে সীমান্ত পার করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও পোল্যান্ড কোনো সাড়া দেয়নি। সে কারণেই শেষপর্যন্ত পরিবারটিকে সীমান্ত পার করিয়ে দেয় জার্মান পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।