আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। টানা ১৫ ঘণ্টার ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ভোটগণনা এবং ফল ঘোষণা। তবে এর আগেই বুথ ফেরত জরিপে ফলাফলের আভাস জানানো হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, বিরোধী দল লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস পাওয়া গেছে।
বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে এবং এই পূর্বাভাস সত্যি হলে স্যার কিয়ার স্টারমার হবেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এই জরিপের আভাসে বলা হয়, লেবার পার্টি ১৭০ আসনের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পাবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি ইতিহাসের সবচেয়ে কম ১৩১টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
এ ছাড়া ৬১টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে রিফর্ম ইউকে ১৩টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ১০টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্য দলের ২৫টি আসনে জয়ের আভাস দেওয়া হয়েছে।
স্যার জন কারটিস এবং একদল পরিসংখ্যানবিদের তত্ত্বাবধানে করা এই বুথ ফেরত জরিপের জন্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ১৩০টি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এই জরিপের আওতায় আসেনি।
তবে কিছু জনমত জরিপে কনজারভেটিভ পার্টির ভেসে যাওয়ার যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল সেটি সম্ভবত দলটি এড়াতে পারবে। কিন্তু তারপরেও এটিই হবে দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে নির্বাচনী ফল। ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২৪১ আসন হারিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি এখন বড় বিপর্যয়ের মুখে।
এর ফলে ২০১০ সালের পর আবারও ডাউনিং স্ট্রিটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হবে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ঋষি সুনাক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ অর্থাৎ টোরিরা লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির দিক থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। কারণ এই দল দুটি আগের চেয়ে বেশি আসন পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।