আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার প্রায় পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেছেন। কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কয়েক সপ্তাহ পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
রুটো বলেছেন, তার সিদ্ধান্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সকল মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শুধুমাত্র ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া এবং প্রাইম কেবিনেট সেক্রেটারি মুসালিয়া মুদাভাদিকে তাদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে।
নাইরোবিতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, সামগ্রিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন পদক্ষেপের পরেও কেনিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে এই প্রশাসন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাছাড়া আমার প্রতি কেনিয়ার মানুষের যে উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে তা আমি জানি।
গত ২৫ জুন কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এরপর দেশটিতে শুরু হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি নিহত হন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা দেশটির সংসদেও ঢুকে পড়েন।
বিক্ষোভকারী ও সাধারণ মানুষ এতোটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তারা সংসদের ভেতর ভাঙচুর চালান।
এই পরিস্থিতিতে পরের দিন ২৬ জুন আইনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট রুটো। যদিও ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত সেই বিল থেকে সরে আসে দেশটির সরকার, তবে বিক্ষোভাকারীদের ক্ষোভ কমেনি। পরবর্তীতে তারা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন। এর জেরে মন্ত্রীসভার সব সদস্যকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট রুটো।
বিতর্কিত ওই বিলটি পাসের পরই সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে ঢুকেপড়েছিল বিক্ষোভকারীরা। সে সময় সংসদ সদস্যরা বেসমেন্টে আশ্রয় নেন। শুধু রাজধানী নাইরোবি নয়, নতুন বিলের বিরুদ্ধে দেশজুড়েই বিক্ষোভ হয়েছিল।
সূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা, ফ্রান্স ২৪
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।