পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
তার বিরুদ্ধে সারওয়ার রোড, গুলবার্গ, রেসকোর্স, সাদমান, মুঘলপুরা, মডেল টাউনসহ বিভিন্ন থানায় দায়ের করা একাধিক মামলার এই রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সামা টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইমরান খানকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির না করার জন্য প্রসিকিউটর ‘নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের’ কথা উল্লেখ করায় তাকে একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
শুনানিতে ইমরান খান জানান, তিনি ৯ মের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দাঙ্গায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমার ২৮ বছরের ইতিহাসে আমি কখনো সহিংসতায় উসকানি দেইনি।’
এর আগে রোববার ইমরান খান তোশাখানা মামলার শুনানিকালে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) চেয়ারম্যানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে জেলে রাখেন, কিন্তু আমার স্ত্রীকে মুক্তি দিন। তাকে কেন আটকে রেখেছেন?’ এসময় শুধু তাকে (ইমরান) কষ্ট দেওয়ার জন্যই বুশরা বিবিকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি সম্প্রতি ‘বেআইনি বিবাহ’ সংক্রান্ত একটি বড় মামলায় খালাস পান। তবে এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে সোমবার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। এমনকি শরিক দল ও মিত্রদের কাছ থেকেও সমর্থন পাচ্ছে না সরকার। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।