ভিডিও

যেভাবে হত্যার শিকার হন ইসমাইল হানিয়া

প্রকাশিত: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ০৩:০৫ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ০৩:০৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন এজেন্টকে নিয়োগ দেয় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে দুই মাসে আগেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায় মোসাদ।

গত মে মাসে হানিয়া যখন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষকৃত্যে অংশ নিতে ইরানে যান, তখনই তাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা করা হয়। তবে অধিক জনসমাগমে অভিযান ব্যর্থ হতে পারে বলে পরিকল্পনা পেছায় মোসাদ।

ইরানের দুজন কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানান, হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা পরে পরিবর্তন করা হয়। ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই এজেন্ট মোসাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) গেস্টহাউসের তিনটি রুমে বোমা পেতে রাখেন।

হানিয়া অবস্থান করতে পারেন সম্ভাব্য এমন তিনটি রুমে বোমা পেতে রাখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই এজেন্টরা গেস্টহাউসটিতে চুপিচুপি চলাচল করছিলেন। তাদেরকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

বোমাগুলো পেতে রাখার পর ওই এজেন্টগুলো ইরান থেকে পালিয়ে যান। তবে ইরানের তাদের একটি উৎস ছিল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হানিয়ার রুমের বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গত মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যান ইসমাইল হানিয়া। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এরপর ওইদিন স্থানীয় সময় রাত ২টা নাগাদ হত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়া। এসময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন।

আইআরজিসিরি এক কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানান, তারা এখন নিশ্চিত যে মোসাদ আনসার আল-মাহদি সুরক্ষা ইউনিট থেকে এজেন্ট নিয়োগ করেছে। ইরানে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে আল-মাহদি সুরক্ষা ইউনিট। আইআরজিসির ওই কর্মকর্তা জানান, তারা ব্যাপক তদন্তের পরে আরও দুটি রুমে বোমার সন্ধান পান।

টেলিগ্রাফকে আইআরজিসির অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি ইরানের জন্য একটি বড় অপমান ও বিশাল নিরাপত্তা লঙ্ঘন।’ তিনি বলেন, ‘এটি কীভাবে ঘটল তা এখনও সবার কাছে একটি প্রশ্ন, আমি নিজেও এর উত্তর জানি না।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় ইরানের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা একে অপরকে ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করার নিদের্শ দিয়েছেন আইআরজিসি কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কানি। 

টেলিগ্রাফকে আইআরসিজির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার এমন ব্যর্থতা সবাইকে অপমান করেছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি গত দুই দিনে বেশ কয়েকবার শীর্ষ সব কমান্ডারকে ডেকে বলেছেন, তিনি এর উত্তর চান। তার কাছে, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সমাধান করা এখন প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ইরানের রাজধানীতে তেহরানে হানিয়ার হত্যাকাণ্ড ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের নাগাল এবং প্রভাব সম্পর্কে আশঙ্কা তীব্র করেছে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS