আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রকে জানায় ইসরায়েল। দেশটি জানায়, হানিয়াকে হত্যার পেছনে তারা জড়িত। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। খবর : টাইমস অব ইসরায়েল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হানিয়াকে হত্যা করায় ইসরায়েলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় জো বাইডেন সরকার। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের কারণে গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তাবায়নে এতদিন ধরে চলা আলোচনা শেষ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া হিজবুল্লাহ বা ইরানের কমান্ডারদের হত্যার অভিযান শুরু করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে না জানানোর কারণেও ক্ষোভ ঝাড়েন মার্কিন কর্মকর্তারা। একজন অজ্ঞাত ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানায়, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ফোনালাপ হলে সেখানে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ইরানের তেহরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস। তবে এখনো এই হামলার পেছনে জড়িত থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেনি তেল আবিব। এদিকে হানিয়াকে হত্যার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সেখানে বড় ধরনের যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলে হামলা চালানো থেকে ইরান ও হিজবুল্লাহকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক চেষ্টা করে চলেছে তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।