আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সেতু ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে কখন এই হামলা চালানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। দেশটি রাশিয়ায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংসের কথা জানিয়েছে ইউক্রেন।
দ্বিতীয় সেতুটিতে হামলার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক। পোস্টে তিনি লিখেছেন, আরো একটি সেতু ধ্বংস করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেতুটির একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কালো ধোঁয়া উড়ছে। সম্প্রতি কুরস্কের গ্লুসকোভো জেলার কাছে সিম নদীর ওপর আরেকটি সেতু ধ্বংস করে ইউক্রেনের বাহিনী। সেনাসহ রসদ সরবরাহে সেতুটি ব্যবহার করত রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভেতরে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। রুশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে সুদজা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কিছু অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম। তবে এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে মস্কো। রবিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা স্পষ্টভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাশিয়া এবং ইউক্রেন তাদের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি চুক্তির পরিকল্পনা করছিল। এই চুক্তির সম্ভাব্য আলোচনা কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যা উভয় দেশকে আংশিক যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক হামলার ফলে সেই আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।
জাখারোভা এই প্রতিবেদনের জবাবে বলেন, ‘কোনো আলোচনা বা চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু ফাঁস করা হয়নি, কারণ এমন কিছু ছিলই না। রাশিয়া ও কিয়েভের মধ্যে বেসামরিক অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’ সূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।