আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এরপর মিসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। দেশটি শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী।
ব্লিংকেন বলেন, চলমান আলোচনা খুব সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সুযোগ। আমরা এখন একটি ক্রান্তিলগ্নে রয়েছি, জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা, যুদ্ধবিরতি চালু ও সবাইকে টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তার পথে নিয়ে আসার এটিই সবচেয়ে সেরা এবং সম্ভবত সর্বশেষ সুযোগ। সোমবার ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি সিদ্ধান্তমূলক মুহূর্ত সম্ভবত সেরা এবং সম্ভবত শেষ সুযোগ জিম্মিদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার, যুদ্ধবিরতি করার এবং সবাইকে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আরও ভালো পথে এগিয়ে যাওয়ার। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাকে পাঠিয়েছেন কোনো রকম বাধাবিঘ্ন ছাড়া এবং সবার জন্য গ্রহণযোগ্য উপায়ে এই চুক্তি সম্পাদন করতে। এখনই সময় এই চুক্তি করার। এ ছাড়া কেউ যেন এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করারও সময় এটি।’
রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের বদল হবে না। এদিকে হামাস জানিয়েছে, নতুন শর্ত গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-জিম্মি মুক্তি চুক্তির পরিপন্থী। যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতেই এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। খবর : ওয়াশিংটন পোস্ট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।