আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন ১১৬ বছর বয়সী জাপানি এক বৃদ্ধা। আল জাজিরা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জেরোন্টোলজি গবেষণা দল বুধবার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ১৯০৮ সালের ২৩ মে জন্মগ্রহণকারী সাবেক পর্বতারোহী তোমিকো ইটোকা এই পদবি গ্রহণ করবেন।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা মঙ্গলবার কাতালোনিয়ার একটি হাসপাতালে ১১৭ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পর পদটি খালি হয়ে যায়।
তার এই পদটি গ্রহণ করবেন ইটোকা। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আশিয়ার হায়োগো প্রিফেকচারের বাসিন্দা ইটোকা যে বছরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই বছরে রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমবারের মতো ইউরোপ ও আমেরিকাতে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। একই বছর আইফেল টাওয়ার থেকে প্রথম দূরপাল্লার রেডিও বার্তাও পাঠানো হয়।
আল জাজিরার তথ্য মতে, তিন সন্তানের জননী ইটোকা তার ৭০ বছর বয়সেও পাহাড়ে চড়তেন।
ওই সময় দুই বার জাপানের ১০ হাজার ফুট উঁচু মাউন্ট অন্টাকেও আরোহণ করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ওই সময় তিনি হাইকিং বুটের পরিবর্তে স্নিকার্স পরেই পাহাড়ে আরোহণ করেছিলেন। তার গাইডও এটি দেখে অবাক হয়ে যায়।
১০০ বছর বয়সে তিনি জাপানের আশিয়া শ্রাইনের দীর্ঘ পাথরের সিঁড়ি কোনো ধরণের লাঠির সাহায্য ছাড়াই উঠেছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারসেন্টেনারিয়ান ডেটাবেসের দাবিদার একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগের রেকর্ডধারী ব্রান্যাস ১৯১৮ সালের ফ্লু, দুই বিশ্বযুদ্ধ এবং স্পেনের গৃহযুদ্ধ দেখেছেন। ২০২০ সালে ১১৩ তম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি কোভিড-১৯ এও আক্রান্ত হন। তবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ব্রান্যাস এর আগে তার পরিবারের পরিচালিত একটি এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, ‘সময় নিকটে।
তিনি বলেছিলেন, ‘কাঁদো না, আমি অশ্রু পছন্দ করি না। আমার জন্য কষ্ট পেও না। আমি যেখানেই যাই, সুখে থাকব।’
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ফরাসি সন্ন্যাসিনী লুসিল র্যান্ডনের ১১৮ বছর বয়সে মৃত্যুর পর ব্রান্যাসকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
এখন পর্যন্ত প্রমাণিত সবচেয়ে দীর্ঘজীবী ব্যক্তি ছিলেন ফরাসি নারী জ্যাঁ লুইস ক্যালমেন্ট। তিনি ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর ১৬৪ দিন বয়সে মারা যান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।