আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এই আদেশের কারণে গাজা উপত্যকায় ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ। খবর : বিবিসি।
জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগের কারণে তাদের দাতব্য সংস্থার কর্মীরা সোমবার কাজ করতে পারেননি। তারা বলছেন, ইসরায়েলের ঘোষিত মানবিক অঞ্চলের কিছু অংশসহ দেইর আল-বালাহ শহর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণ সহায়তা পরিচালনা কেন্দ্র। কিন্তু ইসরায়েলি নির্দেশনা দেওয়ার পরপরই কর্মীদের দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন সরঞ্জাম সেখানেই ফেলে আসতে হয়েছে। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তা বলছেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গাজা ছেড়ে যাবে না। নিরাপদে কাজ করার জন্য তারা এখন নতুন জায়গার খোঁজ করছেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতিসংঘের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি সেই পরিস্থিতিতে আমরা আজকে খাবার সরবরাহ করতে পারছি না। আজ সকাল পর্যন্ত আমরা গাজায় কাজ করছি না। তবে তিনি এ-ও বলেন, আমরা গাজা ছাড়ছি না। কারণ সেখানে জনগণের আমাদের প্রয়োজন। আমরা জাতিসংঘের কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর সিনিয়র ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর স্যাম রোজ সতর্ক করে বলেছেন, জাতিসংঘের কর্মী ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের গাজার খুব ছোট ছোট এলাকায় সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে। ভিডিও লিংকের মাধ্যমে নিউইয়র্কের সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসরায়েল ঘোষিত মানবিক অঞ্চল সংকুচিত হয়েছে। এটি এখন সমগ্র গাজা উপত্যকার মাত্র ১১ শতাংশ। তবে এই ১১ শতাংশ জমিই বসবাসের উপযোগী নয়। এগুলো বালির টিলা, জনাকীর্ণ এলাকা। সেখানে বসবাস করে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।