স্পোর্টস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন লুইস সুয়ারেজ, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেটাও সেরে ফেললেন। চোখের জলে ভাসলেন উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলার, কাঁদলেন, কাঁদালেন। সুয়ারেজের বিদায়ী ম্যাচে আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিওনেল মেসিও।
২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লড়াইয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ে। এই ম্যাচই উরুগুয়ের জার্সিতে সুয়ারেজের শেষ ম্যাচ। ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি উরুগুয়ে। গোলশূন্য ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে। ম্যাচের ফল ছাপিয়ে অবশ্য সবার চোখ ছিল সুয়ারেজের ওপর।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের বিদায়ী ম্যাচে মাঠে উপস্থিত ছিলেন অজস্র দর্শক। বড় বড় ব্যানার ও তিফোতে লেখা ছিল তার নাম। পুরো সময় জুড়ে স্লোগানে স্লোগানে গোটা গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন দর্শকেরা। এদিন সুয়ারেজের সঙ্গে মাঠে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও। এসেছিলেন উরুগুয়ের কিংবদন্তি কোচ অস্কার তাবারেজ।
সুয়ারেজের সঙ্গে মেসির বন্ধুত্বের শুরু বার্সেলোনা থেকে। সেই পথ এসে থেমেছে ইন্টার মায়ামিতে। প্রিয় বন্ধুর বিদায়ের দিনে আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়েছেন মেসি। রেকর্ড করা ভিডিও দেখানো হয় স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়।
বন্ধু সুয়ারেজের উদ্দেশে মেসি বলেছেন, ‘বিশেষ এই দিনে আমি তোমার জন্য এই ভিডিও রেকর্ড করেছি। এটা তোমার, তোমার পরিবারের, উরুগুয়ের এবং ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বিশেষ দিন। তুমি জাতীয় দলকে এবং দেশকে যা দিয়েছো, সেটা আজীবন মনে রাখবে জাতি।
আমি জানি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন। কারণ, উরুগুয়ের জন্য খেলা তোমার জন্য কী ছিল সেটাও আমি জানি। আমি আশা করব, যে ভালোবাসা তোমাকে দেওয়া হচ্ছে, তা তুমি উপভোগ করবে। আমি যা বললাম, তুমি তার চেয়েও বেশি যোগ্য। কারণ, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমি সবকিছু উজাড় করে দিয়েছো। আজ যারা সেখানে উপস্থিত আছে, তুমি তাদের জন্য বিশাল এক উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছো।’
বিদায়ী বার্তায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘উরুগুয়ে যেকোনো খেলোয়াড়, কোচ, পরিচালক কিংবা যে কারও চেয়ে বড়। আগামীকাল থেকে আমি শুধুই আরেকজন ভক্ত। যারা এরপর খেলতে আসবে, সবার জন্য শুভকামনা থাকবে। নিশ্চিতভাবে তারাও আমাদের মতো দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। উরুগুয়ে দীর্ঘজীবী হোক এবং আমি সব সময় উরুগুয়ের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।