স্পোর্টস ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো পিএসএল চ্যাম্পিয়ন হলো ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। শেষ বলে জয় তুলে নিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ইসলামাবাদ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইসলামাবাদের দরকার ৮ রান। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ অনেকটাই হাতে নিয়ে আসেন নাসিম শাহ। ৪ বলে তখন দরকার ৩। পরের দুই বলে দুই রান হলে জয়ের জন্য ২ বলে লাগে মাত্র ১। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের জয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন সময়ে আবার নাটক। পঞ্চম বলে আলি আউট করে দেন নাসিমকে। ফলে শেষ বলে ১ রান দরকার পড়ে ইসলামাবাদের। নাসিম শাহ শেষ করে আসতে না পারলেও তার ভাই হুনাইন শাহ শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেন। ২ উইকেটের জয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে ইসলামাবাদ শিবির।
করাচিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইসলামাবাদের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৬০ রানের। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ৩২ বলে ৫০ আর আজম খান ২২ বলে ৩০ করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ১২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে ইমাদ ওয়াসিম আর নাসিম শাহর ১৬ বলে ৩০ রানের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের পথে হাঁটে ইসলামাবাদ। এরপর শেষ ওভারের উত্তেজনা ছাপিয়ে শেষ হাসি শাদাবের দলের। ১৭ বলে ১৯ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন ইমাদ। মুলতান সুলতানসের হয়ে ১৯ রানে দুটি উইকেট নেন ইফতিখার আহমেদ। ২১ রানে দুটি নিয়েছেন খুশদিল শাহ। একটি করে নিয়েছেন ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ আলী ও উসামা মির।
এর আগে নিয়মিত উইকেট হারিয়েও মুলতান ৯ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৫৯ রান। যার পেছনে মূল অবদান উসামা খান ও ইফতিখার আহমেদের। উসামা ৪০ বলে ৫৭ রান করেছেন। আর শেষ দিকে ঝড় তোলেন ইফতিখার। তিনি ২০ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বল হাতে আলো ছড়ান মূলত ইমাদ ওয়াসিম। ২৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ৩২ রানে তিনটি নিয়েছেন শাদাব খান। ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ১৯ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা পুরস্কার পান ইমাদ ওয়াসিম। আসরে ব্যাট হাতে ৩০৫ রান ও বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন শাদাব খান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।