স্পোর্টস ডেস্ক : তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোনালাপকে কেন্দ্র করে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। দেশের একটি বেসরাকারি টেলিভিশনে ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে জাতীয় দলের সতীর্থ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করতে দেখা যায়। এমনকি জাতীয় দলের সতীর্থ মুশফিকুর রহিম এবং মিরাজকে হুমকি-ধামকি দিতে শোনা যায় তামিমকে।
ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপ নিয়ে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সতীর্থ ক্রিকেটারকে হুমকি দেয়ায় সমালোচনাও হতে থাকে তামিমের। একই সঙ্গে গুঞ্জন ওঠে, একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ এই ফোনালাপ। তবে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পরদিনই রহস্য ফাঁস করেন তামিম। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশালের সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে লাইভে এসে জানান, মূলত ইচ্ছা করেই নিজেদের ওই ফোন কল ফাঁস করেছেন তামিম এবং মিরাজ। ওই ফোন কলটি ছিল মোবাইলভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের নতুন একটি ক্যাম্পেইনের অংশ। তামিম-মিরাজের সঙ্গে এই ক্যাম্পেইনে কাজ করছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকও। লাইভে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটাররা।
তাদের এমন কার্যকলাপ ভালোভাবে নেয়নি দেশের ক্রিকেট সমর্থক। বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে মিরাজ-মুশফিক-রিয়াদরা এমন বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে পারেন না বলেও মনে করেন অনেকেই। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় বিসিবিরও। তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে।
মিরপুরে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের সেই বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তিনি কীভাবে দেখেন-তাকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে পাপন বলেন, 'আমি আপনাদের আরেকবার পরিষ্কার করে বলি, সেদিন আমাকে বিজ্ঞাপনটা নিয়ে জিজ্ঞাস করেছিল, আমি বলেছি এটা আমি দেখিনি। তবে আমি শুনেছি, একজন আমাকে বলেছে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। তখন সে বলেছিল, এটা ওরা করেছিল...প্রশ্ন করেছিল অনেকগুলা, তো আমি বলেছি, আমার আগে জানতে হবে, বোর্ডের সঙ্গে বসতে হবে। দেখতে হবে আমাদের যে আইন আছে তাতে কী আছে-না আছে, ওরা কি ভঙ্গ করেছে-না করেছে, আমি জানি না। এগুলো দেখে তারপর যদি কোনো লঙ্ঘন হয়ে থাকে বোর্ড তাদের ডিসিশন নেবে। এটা নম্বর ওয়ান, নম্বর টু-এমন কোনো বিজ্ঞাপন বা কোনো নাটক বা কোনো কিছুই করা উচিত না, যেটা কোনো একটা খেলোয়াড় অথবা বা ক্রিকেটকে হাস্যকর কিছুতে পরিণত করতে পারে বা ছোট করতে পারে। এটাই আমার স্টেটমেন্ট ছিল, এখনও আমার একই কথা।'
জাতীয় দলের খেলা চলাকালীন কোনো স্কোয়াড মেম্বার বিজ্ঞাপনে কাজ করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, 'প্রথম কথা হচ্ছে এটা ঐ সময় ঘটেছে কি না। খেলার সময় হয়েছে নাকি এক মাস আগে আমি জানি না তো। আপনার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আসলে এভাবে দেওয়া যায় না। আমি বলেছি যেটা বলেছি আপনাদের কাছে, আজকে ওনাদের (বোর্ড মেম্বার) সঙ্গে বসেছি, ওনারা দেখবেন। যদি কোনো জায়গায় কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটে থাকে ডেফিনিটলি বোর্ড যা করা দরকার করবে।'
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।