স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দ্যুতি ছড়ালেন মোস্তাফিজ। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৩০ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। এতে চেন্নাইও পেয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছে ৬৩ রানে। অবশ্য লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা ফেরায় মোস্তাফিজের একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে আলোচনা ছিল। শেষ পর্যন্ত কাটার মাস্টারকে একাদশে রেখেছে চেন্নাই। পাথিরানা খেলেছেন ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে।
চেন্নাই শুরুতে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। জবাবে চেন্নাইয়ের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে গুজরাটকে চাপে ফেলতে পেরেছে। সর্বোচ্চ ইনিংস বলতে ইম্প্যাক্ত খেলোয়াড় হিসেবে খেলা সাই সুদর্শনের ৩১ বলে ৩৭ রান! ডেভিড মিলারও ১৬ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন। ব্যাটাররা ইনিংস ধরে খেলতে না পারায় গুজরাট ৮ উইকেটে করতে পারে ১৪৩ রান। মোস্তাফিজ শুরুতে সাফল্য না পেলেও দুটি উইকেটই নিয়েছেন ডেথ ওভারগুলোতে। মোস্তাফিজ ছাড়া ২১ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন তুশার দেশপান্ডে। ২৮ রানে দুটি নিয়েছেন দীপক চাহারও। একটি করে নিয়েছেন ড্যারিল মিচেল ও মাথিশা পাথিরানা। ঘরের মাঠে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করার সুযোগটা চেন্নাই কাজে লাগিয়েছে। ৬ উইকেটে করেছে ২০৬ রান।
তিনটি ইনিংসে ভর করে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়েছে। দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রাচিন রবীন্দ্র ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে রবীন্দ্রর ইনিংস। ২০ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন তিনি। অধিনায়ক গায়কোয়াড় ৩৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। তার পর ২৩ বলে শিভম দুবের বিস্ফোরক ৫১ রানের ইনিংসে স্কোরবোর্ড বড় হয়ে ওঠে। ম্যাচসেরাও হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৫টি ছয়। ৬ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে অবদান রাখেন সামির রিজভি। তাছাড়া ড্যারিল মিচেল ২০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। গুজরাটের হয়ে ৪৯ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। একটি করে নিয়েছেন সাই কিশোর, স্পেন্সার জনসন ও মোহিত শর্মা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।