স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেটের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। শুধু বড় পরাজয়ই নয়, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতে পারে টিম বাংলাদেশের। কারণ, দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের সামনে এখন শান্তর দল।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের করা ৫৩১ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৬৪.৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭৩। ৩১ রান নিয়ে মুমিনুল হক এবং শূন্য রান নিয়ে ব্যাট করছেন খালিদ। ফলোঅন এড়াতে হলে অন্তত ৩শ’র ওপর রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে জাকির হাসান এবং তাইজুল ইসরাম মিলে প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামাল দিতে পারলেও হঠাৎ ঝড়ে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ৯৬ থেকে ১০৫- এই ৯ রানের মধ্যে একে একে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা। যে উইকেটে লঙ্কান ব্যাটাররা রাজত্ব করেছে সেই উইকেট পরিণত হলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের বধ্যভূমি। লঙ্কান বোলাররাই এখন সেখানে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছেন। বিশ্ব ফার্নান্দো নেন ২ উইকেট এবং প্রাবাথ জয়সুরিয়া নেন ১ উইকেট।
৫৩১ রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসান গড়েন ৪৭ রানের জুটি। লাহিরু কুমারার বলে ২১ রান করে বোল্ড হয়ে যান জয়। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা দু‘জন। আজ তৃতীয়দিন প্রথম দেড়ঘণ্টা কাটিয়ে দেন তারা দু‘জন। এরই মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন জাকির হাসান। শেষ পর্যন্ত ভাঙে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির হাসান। ১০৪ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এ সময় উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ দলের এই টপ অর্ডারের ওপর অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজে ওয়ানডে ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। যেন ব্যাটিংই ভুলে গেছেন তিনি। আজও ১১ বল খেলে আউট হয়েছেন তিনি ১ রান করে। এরপর দলীয় ১০৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তাইজুল ইসলামও।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।