স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ জয়ের (৩-২) পর দ্বিতীয় লেগেও দারুণ শুরু করেছিল বার্সেলোনা। ১২ মিনিটে রাফিনহার গোলের পর মনে হচ্ছিল পিএসজির ওপর আরও চেপে বসবে তারা। কিন্তু ২৯ মিনিটে রোনাল্ড আরাউহো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারায় তারা। দ্বিতীয় লেগ ৪-১ গোলে জিতে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় বার্সাকে বিদায় করে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে পিএসজি।
বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেসও মনে করেন, ওই ঘটনাই সব আশা শেষ করে দিয়েছে তাদের। কিন্তু তার মতে, ‘বাজে রেফারির’ এই সিদ্ধান্তটা ছিল অহেতুক!
ঘটনাটা ছিল প্রথমার্ধে। ২৯ মিনিটে বারকোলা বল নিয়ে বার্সার বক্সে ঢুকতে চেষ্টা করেছিলেন। তার সামনে ছিলেন শুধু টের স্টেগেন। বক্সে ঢোকার আগ মুহূর্তেই পেছন থেকে ধরে ফেলে দেন আরাউহো। এই ফাউলের শাস্তি হিসেবে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। ১০ জন হয়েই যেন ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বার্সা। তার পর ত্রাস ছড়ায় পিএসজি। ম্যাচের পর জাভি মুভিস্টারকে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘এটা লজ্জার শুধুমাত্র রেফারির সিদ্ধান্তে পুরো মৌসুমের কঠোর পরিশ্রম এখানেই শেষ হলো। এই সিদ্ধান্তটা ছিল অহেতুক।’
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, খোদ জাভিও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠের পাশে অবস্থিত ক্যামেরার সামনে কুশনে লাথি দিয়ে লাল কার্ড দেখেছেন। তারপর তো ম্যাচ পরিচালনাকারী রোমানিয়ান রেফারি ইস্তভান কোভাকসকে নিয়ে এভাবেই সমালোচনা করেছেন তিনি, ‘খুবই বাজে একটা রেফারি ছিল। আমি তাকে বলেছি যে, সে ম্যাচ বুঝে না।’
আরোউহোর লাল কার্ড ম্যাচে ভালো মতোই প্রভাব ফেলেছিল। তখন নিরুপায় হয়ে রক্ষণ শক্তিশালী করতে ১৬ বছর বয়সী উইঙ্গার লামিন ইয়ামালকে তুলে নেন জাভি। যার মাধ্যমে প্রথম গোলটি তৈরি হয়েছিল। তখন মাঠে রক্ষণের অপূর্ণতা দূর করতে মাঠে নামেন ইনিগো মার্টিনেজ। ম্যাচের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে জাভি বলেছেন, ‘আমরা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছি বিষয়টাতে। কারণ এই লাল কার্ডই সব কিছু নির্ধারণ করে দিয়েছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।