স্পোর্টস ডেস্ক : গুজরাট টাইটান্সের সামনে পাঞ্জাব কিংস ১৪৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। তখন পাঞ্জাবের হার অনেকটাই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সহজে হাল ছাড়লো না পাঞ্জাব। লড়াই হলো রুদ্ধশ্বাস। তাতে নায়ক হলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। তার দারুণ ইনিংসে ভর করে ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতলো গুজরাট।
রোববার (২১ এপ্রিল) পাঞ্জাবের মুল্লানপুরে মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে দলীয় প্রচেষ্টায় নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে পাঞ্জাব। জবাব দিতে নেমে তেওয়াটিয়ার বীরত্বে ৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় গুজরাট। ব্যাটিং করতে নেমে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার স্যাম কারান আর প্রভসিমরান সিং। তাতে পাওয়ারপ্লের আগেই পাঞ্জাব কিংস তুলে নেয় অর্ধশতক। ৩ চার আর ৩ ছক্কায় প্রভসিমরান ২১ বলে ৩৫ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। রাইলি রুশো এসে টিকতে পারেননি।
গুজরাটের দুই আফগানি লেগ স্পিনারের কাছে মূলত হার মানেন পাঞ্জাবের ব্যাটাররা। নূর আহমেদ রুশোকে বিদায় করতেই আঘাত হানেন রশিদ খান। স্যাম কারানকে এলবিডব্লিউ করেন রশিদ। এরপর পাঞ্জাবকে চেপে ধরে গুজরাট। ইনিংস বড় করতে পারেননি লিয়াম লিভিংস্টোনও। ৯ বলে ৬ রান করে হন নূরের দ্বিতীয় শিকার। এক পর্যায়ে ৯৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেন হারপ্রীত সিং ও হারপ্রীত ব্রার। দুই হারপ্রীতের জুটিতে লড়াই করার পুঁজি পায় পাঞ্জাব কিংস। ৪ চার আর ১ ছক্কায় ১২ বলে ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ব্রার। হারপ্রীত সিং করেন ১৪ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন গুজরাট টাইটান্সের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল। দলীয় ২৫ রানের মাথায় আর্শদীপ সিংয়ের বলে বিদায় নেন ঋদ্ধিমান। এরপর সাই সুদর্শনকে নিয়ে আগাতে থাকেন শুভমান। ২৯ বলে ৩৫ রান করে গিল আউট হলে ভাঙে জুটি। দ্রুত বিদায় নেন ডেভিড মিলারও। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় আউট হন সুদর্শন। এরপর ক্রিজে আসেন তেওয়াটিয়া। নেমেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন। শেষ চার ওভারে পাঞ্জাব কিংসের দরকার ছিল ৩৮ রান। তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খান মিলে ম্যাচ নাগালে নিয়ে আসেন। ১৭তম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে হাঁকান তেওয়াটিয়া। ১৮তম ওভারে ২০ রান আসলে ম্যাচ সহজ হয়ে যায়। ১৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে কিছুটা রোমাঞ্চ জাগিয়েছিলেন আর্শদীপ সিং। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তেওয়াটিয়া। শেষে পর্যন্ত ৭ চারে ১৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।