স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য লখনৌয়ের প্রয়োজন ১৭ রান। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মুস্তাফিজের ওপরই আস্থা রাখেন ধোনি। তবে সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ফিজ। তার ৩ বলেই ম্যাচ শেষ করে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান মার্কাস স্টয়নিস।
নিজের প্রথম তিন বলে একটি নো-সহ ১৬ রান দিয়ে লখনৌকে জিতিয়ে দিলেন মোস্তাফিজ। ৬৩ বলে ১৩ চার আর ৬ ছক্কায় ১২৪ রানের হার না মানা সেঞ্চুরি করে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিলেন মার্কাস স্টয়নিস। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে তিনি নায়ক হলেন মোস্তাফিজকে খলনায়ক বানিয়ে।
৩.৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে মোস্তাফিজের শিকার একটি উইকেট। কে বলবে, নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কাটার মাস্টার! এরপর যা বল করেছেন, রীতিমত দুঃস্বপ্নের!
এর আগে ১৪ ওভার শেষে চেন্নাই সুপার কিংসের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১৯। সেখান থেকে শেষ ৬ ওভারে তারা তুললো ৯১ রান! এমনটা সম্ভব হয়েছে রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিভাম দুবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। ৪ উইকেটে ২১০ রানের বড় পুঁজি গড়ে চেন্নাই সুপার কিংস।
ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো ছিল না চেন্নাইয়ের। প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আজিঙ্কা রাহানে। ড্যারেল মিচেল করেন ১০ বলে ১১। রবীন্দ্র জাদেজা আউট হন ১৯ বলে ১৭ রানের ধীর ইনিংস খেলে।
তবে রুতুরাজ একটা প্রান্তে ঠিকই চালিয়ে গেছেন। ৫৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন চেন্নাই অধিনায়ক। সবচেয়ে বড় তাণ্ডবটা চালান তিনি চতুর্থ উইকেটে শিভাম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে। এই জুটিতে ৪৬ বলে ১০৪ রান যোগ করেন তারা।
ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে রানআউট হন ২২ বলে ফিফটি করা শিভাম দুবে। ২৭ বলে ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন গায়কোয়াড়। ৬০ বলে ১০৮ রানের হার না মানা ইনিংসে ১২টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান চেন্নাই অধিনায়ক। মহেন্দ্র সিং ধোনি পেয়েছিলেন কেবল শেষ বলটা। ওই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ২১০ রানে পৌঁছে দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।