স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দা মায়োতে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। চার ম্যাচে দুই গোল করে দেড় বছরের চুক্তির অল্প দিনের মাথায় সেই ক্লাব ছেড়ে চলে আসেন তিনি। সেখানে কোনও বেতন না পাওয়ায় জামাল একতরফা চুক্তি ভঙ করে ক্লাব ছেড়েছিলেন। এরপরই ফিফার কাছে বকেয়া চেয়ে আবেদন করে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন জামাল ভূঁইয়া।
একদিন আগেই ফিফা’র ফুটবল ট্রাইব্যুনাল থেকে বড় পরিসরে রায় এসেছে। ব্রাজিলিয়ান আন্দ্রে দোস সান্তোস মেগালের বিচারক সোল দা মায়োকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ১ কোটি ৯০ লাখ ২৯৮০ টাকার সমান। সেখানে ১২ হাজার ডলার করে সাত মাসের বেতন রয়েছে। সঙ্গে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্টও যোগ হবে। যেটি দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ২০০ ডলারে। পাশাপাশি ফিফার আইন ভঙ্গ করার কারণে ক্লাবটিকে আরও ৭১ হাজার ২২০ ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানেও যোগ হচ্ছে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট, যা দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৭৮০ ডলারের মতো। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সোল দা মায়ো ক্লাবকে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বিচারে সোল দা মায়ো ফিফা’র ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের পক্ষে কোনও ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। তবে এমন রায়ের পর আর্জেন্টাইন ক্লাবটি ১০ দিন সময় পাচ্ছে আপিল করার। আর্থিক বিষয়গুলো আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তিন মাস স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন নিষিদ্ধ থাকবে তাদের।
ফিফা’র ট্রাইব্যুনাল থেকে এমন রায় পেয়ে গণমাধ্যমকে জামাল বলেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে আর্জেন্টিনার সোল দা মায়াতো খেলতে গিয়েছিলাম। ছিলামও অনেক দিন। কিন্তু ওরা আমাকে কোনও টাকা পয়সা দেয়নি। তাই চুক্তির মাঝ পথে সেটি ছিন্ন করে চলে আসতে হয়েছিল। এসেই ফিফা’র কাছে অভিযোগ করি। এখন রায় পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।