স্পোর্টস ডেস্ক : টস হারের পর যেভাবে একের পর এক উইকেটের পতন ঘটে তাতে শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল বড় স্কোর নিয়ে। তারপরেও জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের লজ্জা বাঁচলো সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। তার ৪৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি সম্মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের। ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৪ রান করেন। ৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট আজ একটু চোখ মেলে তাকিয়েছে যেন। ২৮ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। যে ওপেনিং জুটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ দলের, সেই ওপেনিং জুটি আগের ম্যাচে বেশ ভালো খেলেছিলো। ১০১ রানের জুটি গড়েছিলো তারা। কিন্তু পরের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি। আর আজ, সিরিজের শেষ ম্যাচে ওপেনিং জুটিকে ৯ রানে বসিয়ে পরপর সাজঘরে ফেরত পাঠায় জিম্বাবুয়ে বোলাররা।
তানজিদ হাসান তামিম আউট হন ২ রান করে, সৌম্য সরকার আউট হন ৭ রান করে। এরপর এই সিরিজে এতদিন যার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা, সেই তাওহিদ হৃদয় আউট হয়ে গেলেন মাত্র ১ রান করে। ১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দু’জনে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ৩৬ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি বাধেন। দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৩৯ রানের জুটি। ১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন সাকিব।
শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ঝড় তোলেন। ১১ বলে ২ ছক্কা এবং ১ বাউন্ডারি মেরে তিনি ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।