স্পোর্টস ডেস্ক : লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সঞ্জীব মালিক গোয়েঙ্কা ভারতের আরপিএসজি গ্রুপের চেয়ারম্যান। দলের খেলা থাকলে তিনি মাঠে বসে খেলা দেখে থাকেন। গত বুধবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দলকে খুব বাজেভাবেই হারতে দেখেছেন তিনি। লখনৌর ৪ উইকেটে ১৬৫ রান মাত্র ৯.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই টপকে যায় হায়দরাবাদ।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপর মাঠে নেমে রাহুলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় গোয়েঙ্কাকে। হাত ও চেহারার অভিব্যক্তিতে বোঝা যাচ্ছিল অধিনায়কের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তিনি। বিমর্ষমুখে সেই কথাগুলো শুনে যাচ্ছেন দলটির অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর নেটিজেনরা গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে ‘টাকার গরম’ দেখানোর অভিযোগ তোলে। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, চলমান আইপিএলে এটি সবচেয়ে বিব্রতকর দৃশ্য।
মাঠে প্রকাশ্যে দলের অধিনায়ককে এভাবে কথা শোনাচ্ছেন দলটির মালিক- এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। বরং ম্যাচ হারার পরও দলের ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে দেখা যায় শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতাদের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের। লখনৌর একটি সূত্র পিটিআইকে জানায়, রাহুলকে সামনের মৌসুমে নাও রাখতে পারে লখনৌ। লখনৌর রাহুল-গোয়েঙ্কা বিষয় নিয়ে ক্রিকবাজে কথা বলেন শেবাগ। দল হারলেও আর্থিকভাবে ক্ষতি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সব ব্যবসায়ীরা বোঝে শুধু লাভ-ক্ষতি। কিন্তু এখানে তো তার কোনো ক্ষতিও হয়নি। তাহলে কী নিয়ে এত ক্ষুব্ধ? আপনি ৪০০ কোটি রুপি আয় করেন। এটা এমন ব্যবসা, যেখানে আপনার নিজের কিছুই করার নেই। এখানে কাজ করার জন্য অন্যরা আছে। যা-ই ঘটুক না কেন, আপনি তো লাভ করছেন।’
ভারতের সাবেক ওপেনারের মতে, ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সম্পৃক্ত থাকা উচিত শুধু ইতিবাচক আচরণে, ‘আপনার কাজ খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করা। যা ঘটেছে, এই খেলোয়াড় চলে যেতে চাইলে তো নেওয়ার জন্য আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে। আর আপনি যদি একজন খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফেলেন, আপনার জেতার সুযোগ তো শূন্য।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।