স্পোর্টস ডেস্ক : মে মাসের শুরুতেই আইসিসি’র বেঁধে দেওয়া নিয়মানুযায়ী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছে বিসিবি। আর দেশ ছাড়ার আগের দিন আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দল ঘোষণা করা হয়।
আইসিসিতে শুরুতে পাঠানো দল থেকে একটি পরিবর্তন এসেছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে আস্থা পূরণ করতে না পারায় শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বাদ দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে দলে ডাক পান তরুণ পেসার তানজীম হাসান সাকিব। ৩৬ মিনিটের সংবাদ সম্মলেনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর তানজীমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার।
এক প্রশ্নের উত্তর লিপু বলেন, ‘এখানে সবাই খুব ক্লোজ লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। তো আমাদের যে আস্থার জায়গাটা। সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এজন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’
সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাইফুদ্দিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিনটি আর ঢাকায় শেষ ম্যাচটি। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত, ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপরের তিন ম্যাচে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১ উইকেটে ৩৭, ৩ উইকেটে ৪২ ও ১ উইকেটে ৫৫ রান। শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাত খুলে রান দেয়াটাই কাল হয়েছে সাইফুদ্দিনের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তানজীম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলেন। চট্টগ্রামে ১ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
৪ ম্যাচে সাইফুদ্দিন ৮ উইকেট নিয়েও কেন বাদ? অন্যদিকে মাত্র ১ উইকেট নেওয়া তানজীমে কেন নির্বাচকদের আস্থা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজীম) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফুদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের সঙ্গেই লড়াই চলছিল’-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।