হায়দরাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে কলকাতা
দাপট দেখিয়ে প্লে-অফে নাম লেখানো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পাত্তাই পেল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্যাট কামিন্সদের বিধ্বস্ত করে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের কলকাতা।
মঙ্গলবার (২১ মে) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংস শেষে ১৫৯ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ওভার ২ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় কলকাতা।
মাঝারি লক্ষ্যতাড়ায় নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় কলকাতা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং সুনীল নারিন ৩ ওভারেই তোলেন ৪৪ রান। এই জুটিই কলকাতার রান তাড়াকে সহজ করে দেন। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে গুরবাজকে ফেরান নটরাজান। পাওয়ারপ্লেতে ৬৩ রান করে কলকাতা।
পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারে কামিন্সের শিকার হয়ে আউট হন নারিন। ১৬ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দ্রুত সময়ে ২ উইকেট উইকেট হারানোর পর রানের গতি কমার বদলে উল্টো বেড়েছে কলকাতার। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিয়ে শ্রেয়াস আইয়ার দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন।
১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে কলকাতা। জয়ের জন্য দলটির তখন প্রয়োজন ছিল ৬০ বলে ৫৩ রান, হাতে ৮ উইকেট। ৩ ওভার ৪ বলেই সেটা করে ফেলে আইপিএলের দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৪ ছক্কা ৫ চারে ২৪ বলে ৫৮ রান করা শ্রেয়াস মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে হায়দরাবাদ। রাহুল ত্রিপাতি ৫৫ ও কামিন্স ৩০ রান করেছেন। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই হোঁচট খায় হায়দরাবাদ। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের লেংথ বলে বোল্ড হন ট্রাভিস হেড। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে অভিষেক শর্মাকে ফেরান বৈভব অরোরা। ৪ বলে ৩ রান করে আন্দ্রে রাসেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পুরো আসরে এ দুই ওপেনার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতেন। তবে এদিন শুরুতেই দুজনের বিদায়ে উল্টো চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।
ওয়ান ডাউনে নেমে রাহুল ত্রিপাতি চাপ সামলানোর চেষ্টা করলেও তার সঙ্গে কাউকে জুটি গড়তে দেননি স্টার্ক। নীতিশ কুমার রেড্ডি (৯) ও শাহবাজ আহমেদকে (০) দ্রুত সাজঘরে ফেরান তিনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে শতরানে পৌঁছে দেন রাহুল। পঞ্চম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন হেনরিখ ক্লাসেন। তবে তাদেরকে পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি বরুণ। ২১ বলে ৩২ রান করে দলীয় ১০১ রানে আউট হন ক্লাসেন। রান আউট হয়ে দলীয় ১২১ রানে বিদায় নেন রাহুল। ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি।
তাতে দেড়শ রানের আগেই গুঁড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে হায়দরাবাদ শিবিরে। তবে শেষদিকে এসে ঝলক দেখান অরেঞ্জ আর্মিদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১২৬ রানে ৯ উইকেট হারানো দলকে পৌঁছে দেন ১৫৯ রানে। ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩০ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে রাসেলের শিকার হন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।