যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লজ্জার হার শান্তদের
লিটন-শান্তরা খ্যাপ খেলতে পাড়ার মাঠের গেলে কিনারে দর্শক দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। সেখানে আনকোরা, গ্যালারি-দর্শকহীন মাঠে বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাংলাদেশের! যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল, উইকেট-কন্ডিশন জানা-বোঝার ভার যেন পড়েছে লিটন-শান্তদের কাঁধে। ওই বোঝা-পড়ার শুরুতে ফেল করেছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের অন্যতম স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে শান্তরা।
হাউস্টোনের গ্যালারি-ড্রেসিংরুমহীন মাঠ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের তা ভালো মতো চেনা। কদিন আগে কানাডাকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশকে হারানোর মিশনে টস জিতে বোলিং নেয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশকে আটকে রাখে ১৫৩ রানে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেও দলের ৩৪ রানে পরপর আউট হন। লিটন ১৫ বলে দুই ছক্কার শটে ১৪ রান করেন। সৌম্য খেলেন ১৩ বলে তিন চারের শটে ২০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ব্যর্থ হন। তিনি ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান যোগ করেন। এরপর সাকিব ৬ রান করে ফিরলে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
ওই বিপদ থেকে তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ উদ্ধার করেন। তারা ৬৭ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। হৃদয় ইনিংসের শেষ বলে ৪৭ বল খেলে ৫৮ রানে আউট হন। তিনি তিনটি চার ও দুটি ছক্কার শট তোলেন।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। স্টিভেন টেলর আর মোনাক প্যাটেল ১৯ বলে তুলে দেন ২৭ রান। শরিফুল ইসলামের বলে টেলর শট খেললে হাতে লেগে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে যায়। ভাগ্যগুণে মোনাকের (১০ বলে ১২) উইকেট নিয়ে জুটি ভাঙে বাংলাদেশ।
তবে টেলর আর আন্দ্রেস গুস দ্বিতীয় উইকেটে আবার ভয় ধরান। ৩২ বলে তারা যোগ করেন ৩৮ রান। এক উইকেটেই ৬৫ রান তুলে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান বোলাররা। ১৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। এর মধ্যে দুটি উইকেট মোস্তাফিজুর রহমানের, একটি নেন রিশাদ হোসেন।
১৮ বলে ২৩ করে গুস হন রিশাদের শিকার। মোস্তাফিজ সাজঘরে ফেরান টেলর (২৯ বলে ২৮) আর অ্যারন জোনসকে (১২ বলে ৪)। ১০ বলে ১০ করে নিতিশ কুমার উইকেট দেন শরিফুলকে। একশর আগে (৯৪ রানে) ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। মাথার ওপর রানের চাপ বাড়তে থাকে।
তারপরও রান তাড়ায় দারুণভাবে ছুটেছে যুক্তরাষ্ট্র। হারমিত সিং আর কোরি অ্যান্ডারসন মিলে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল মোটে ২৪ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।