স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইংলিশ ক্লাব চেলসির দায়িত্ব ছাড়লেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন। অথচ স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটির সঙ্গে এখনও চুক্তির এক বছর বাকি এই আর্জেন্টাইন কোচের। মূলত ইপিএলে এবারের মৌসুমের শুরুটা বাজে ছিল চেলসির, পরে টানা পাঁচ জয় পেলেও লিগ টেবিলের ছয়ে থেকে তারা মৌসুম শেষ করেছে।
গত পাঁচ বছরে পচেত্তিনো চেলসির ষষ্ঠ স্থায়ী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, অর্থাৎ মেয়াদ শেষ কিংবা নিজ থেকেই সরে দাঁড়ানো কোচেদের মধ্যে তিনি একজন। এর আগে লাগাতার ব্যর্থতার দায়ে থমাস টুখেল, গ্রাহাম পটার এবং ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে বরখাস্ত করেছিল সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। পচেত্তিনো দায়িত্ব ছাড়ায় গত দুই বছরে চেলসির চার কোচের বিদায় হয়েছে। লিগ টেবিলে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান না পেলেও, চলতি মৌসুমে কারাবাও কাপে রানার্সআপ এবং এফএ কাপের সেমিফাইনালে খেলেছে চেলসি। তবে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের খেলা হচ্ছে না। সবমিলিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ লগ্নি করেও, সেভাবে সাফল্য না পাওয়ায় সরে দাঁড়ালেন ৫২ বছর বয়সী পচেত্তিনো। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য চেলসি কর্তৃপক্ষ ও স্পোর্টিং ডিরেক্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ক্লাবটি বর্তমানে এমন অবস্থান তৈরি করেছে, যা প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য ইউরোপীয় লিগে আসন্ন বছরগুলোতে তাদের ভালো ফল এনে দেবে।’
স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লরেন্স স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, ‘চেলসির সবার পক্ষ থেকে মরিসিও’র প্রতি আমরা তার অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি যেকোনো সময়ে চাইলে আবারও ক্লাবটিতে ফিরতে পারবেন এবং আমরা তার ভবিষ্যৎ কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’
কেবল পচেত্তিনোই নন, তার কোচিং স্টাফে থাকা জেসুস পেরেজ, মিগুয়েল ডি’অগাস্টিনো, টনি জিমেনেজ এবং সেবাস্টিয়ানো পচেত্তিনোও ক্লাবটির দায়িত্ব ছেড়েছেন। ধারণা করা হয়েছিল পচেত্তিনোর পর চেলসির দায়িত্ব নিতে পারেন স্পেয়াল ওয়ানখ্যাত হোসে মরিনিও। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটির নজর আরও তরুণ কোচের প্রতি। ইপচউইচকে প্রিমিয়ার লিগে তোলা কোচ কিয়েরান ম্যাককেন্না, স্পোর্টিং লিসবনের রুবেন অ্যামোরিম কিংবা বার্নলির ভিনসেন্ট কোম্পানির দিকে তারা নজর রেখেছে। এমনকি লিস্টার সিটির ম্যানেজার এনজো মারেস্কাও আছেন ওই তালিকায়।উল্লেখ্য, নতুন মালিকানায় আসার পর থেকে খেলোয়াড় কেনায় কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করেছে চেলসি। কিন্তু দলটির পারফরম্যান্সে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। উল্টো বলা যায়, একটা সময় পর্যন্ত তা যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল। যদিও আগের মৌসুমে ইপিএলের ১২ নম্বরে থাকা দলটি এবার ষষ্ঠ স্থানে ওঠে আসে। কিন্তু পচেত্তিনোর বিদায়ে আবারও নতুন শুরুর দিকেই আগাতে যাচ্ছে চেলসি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।