ক্রীড়া ডেস্ক: রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপের সেরা ক্লাব, এ নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। তবে এবার ফাইনালে ভয়টা ছিল। প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড বলেই। শুরুতে তারা দাপুটে রূপে হাজিরও হলো। তাদের আক্রমণের তোড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা হলো কার্লো আনচেলত্তির দলের। তবে রিয়াল ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালো। ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে দুই গোলে দিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতলো ইউরোপের রাজারা।
শনিবার (১ জুন) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দানি কারভাহাল দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ১৫তম বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরলো রিয়াল। আর ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরনের পর রেকর্ড নবমবার শিরোপায় চুমু আঁকলো মাদ্রিদের রাজারা।ম্যাচের শুরুতে অবশ্য রিয়ালকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। বরং সাড়াশি আক্রমণ করে বরুশিয়া। দ্বাদশ মিনিটে প্রথম শট নিতে পারে রিয়াল, তবে লক্ষ্যের ধারেকাছেও ছিল না। এরপরই বরুশিয়ার ঝড়। চর্তুদশ মিনিটে রিয়ালের বক্সে হানা দেন জুলিয়ান ব্রান্ডট। তবে দারুণ পজিশনে বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে হতাশ করেন জার্মান মিডফিল্ডার।
২১তম মিনিটে যে মিসটি করে বরুশিয়া, মূলত সেখানেই শেষ তাদের জয়ের আশা। সতীর্থের থ্রু বল ধরে গোলরক্ষক একা পেয়ে যান কারিম আদেইয়েমি, আগুয়ান থিবো কোর্তোয়াকে দারুণভাবে কাটিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি শট নিতে। ২৩তম মিনিটে নিকলাস ফুয়েলখুগের শট কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে লাগে পোস্টে!
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ শাণায় রিয়াল। তবে ডি-বক্সের বাঁ কোণা থেকে টনি ক্রুসের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। একই কর্নারে হেড মিস করেন দানি কারভাহাল। ৫৭তম মিনিটে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রিত শট নিতে পারেননি কারভাহাল।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের রেশ ধরে রিয়াল এগিয়ে যায় ৭৪তম মিনিটে। পরপর দুটি কর্নার আদায় করে নেয় তারা। গোলটা আসে টনি ক্রুসের কর্নারে। বিদায়ী জার্মান গ্রেটের দ্বিতীয় কর্নারে দুর্দান্ত কোনাকুনি হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন কারভাহাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কারভাহালের দ্বিতীয় গোল এটি। প্রথমটি ২০১৫-১৬ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে।
গোল পেয়ে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় রিয়াল। বারবার হানা দেয় বরুশিয়ার রক্ষণে। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৮৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। নিজেদের সীমানায় খুব বাজে ভুল করে বসেন ডিফেন্ডার ইয়ান মাটসেন, তার ভুল পাস ধরে বেলিংহ্যাম বক্সে ফাঁকায় খুঁজে নেন ভিনিসিউসকে। বাকি কাজটা অনায়াসে করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে থাকার রেশটা বাকি সময়েও ধরে রাখে রিয়াল। দলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হলো বরুশিয়ার। ১১ বছর আগে এই মাঠেই অল জার্মান ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরেছিল ডর্টমুন্ড। সেখানেই আরও একবার দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরার মুকুট পরার স্বপ্ন চূর্ণ হলো তাদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।