স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বল করে নিয়েছেন ১ উইকেট। তবে ছিলেন বেশ মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মোটে ১২। এমন বোলিংয়ের পর মুস্তাফিজ বন্দনায় মেতেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল।
মুস্তাফিজকে নিয়ে পার্থিব বলেন, তিনি দারুণ বোলিং করেছেন, আপনি তার বোলিংয়ে অনেক উন্নতির ছাপ দেখতে পাবেন। আমার মনে হয়, তিনি যখন ২০১৬-১৭ সালে খেলেছেন, তখন তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ছিল ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ এবং তিনি যখন স্লোয়ার মারতেন সেগুলো ১১০ কিংবা ১১৫ হতো, গতির দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল। পরের তিন বছরে তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ঘণ্টায় ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার এবং স্লোয়ার সব সময় ১১৫-১২০ ছিল। এ জন্য গতির বৈচিত্র দিয়ে খুব বেশি ব্যাটারদের বোকা বানাতে পারতেন না। এখন তার অভিজ্ঞতা এবং চেন্নাইয়ের হয়ে খেলে উইকেটকে ভালোভাবে ব্যবহার করছেন, অ্যাঙ্গেলটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে তিনি পিচও বুঝতে শিখে গেছেন। তিনি স্মার্ট বোলার হয়ে গেছেন।
এই মুহূর্তে জাসপ্রিত বুমরাহর চেয়েও বেশি ডট বল দেওয়া বোলার মুস্তাফিজ। তিন ম্যাচে ভারতীয় পেসার দিয়েছেন ৪০ ডট বল। যেখানে মুস্তাফিজের ডট বল সংখ্যা ৪৭টি। চলমান আসরে বাংলাদেশের আর যে কোনো বোলারের চেয়েও যেটা সর্বোচ্চ। সব শেষ নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও আলো ছড়ান। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে কম যাননি। কিন্তু ম্যাচটি যদি বাংলাদেশ জিততে পারত, তাহলে মুস্তাফিজের সেই বোলিংটা বৃথা যেত না। পার্থিব প্যাটেল সেই ম্যাচে ফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, তিনি একমাত্র বোলার, যিনি কিনা ইয়র্কার মারার চেষ্টা করেননি। আমরা হারিস রউফ, আর্শদীপসহ আরও অনেক বোলারকে ইয়র্কার মারার চেষ্টা করতে দেখেছি। কিন্তু তিনি ইয়র্কার করেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮তম ওভারে তিনি খুব সম্ভবত ১ রান দিয়েছিলেন। চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা এবং নিজের লিমিটেশন সম্পর্কে বুঝতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানেন, তার ফিটনেস কখনোই তাকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে অ্যালাউ করবে না। যে কারণে তিনি আবারও তার সেরা পারফরম্যান্সে ফিরতে পেরেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।