ক্রোয়েশিয়ার জালে ৩ গোল দিয়ে স্পেনের ইউরো যাত্রা শুরু
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা মোটেও সুখকর হলো না ক্রোয়েশিয়ার। স্পেনের কাছে ৩-০ গোলের হার দিয়ে এবারের মিশন শুরু করেছে লুকা মদ্রিচের দল।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্রোয়েটরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়ার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন, যার ধারাবাহিকতায় ২৮ মিনিটে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আলভারো মোরাতা। মাঝ মাঠ থেকে মোরাতাকে উদ্দেশ্য করে লম্বা থ্রু বল দেন রুইজ। ক্রোয়েশিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ঠান্ডা মাথার প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন মোরাতা।
পরের মিনিটেই কোভাকিচের শট সহজেই তালুবন্দি করেন স্পেনের গোলরক্ষক সিমোন। এগিয়ে যাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার ওপর চাপ বাড়ায় স্পেন। ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাবিয়ান রুইজ। পেদ্রির যোগান দেওয়া বলে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
৪১ মিনিটে দারুণ এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ক্রোয়েশিয়া। লভরো মাজেরের গোল মুখে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে সামনে থাকা বুদিমির পা ছোঁয়াতে পারলেই ব্যবধান কমাতে পারতো ক্রোয়েশিয়া। কোভাকিচের শটও ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ক্রোয়েশিয়া যখন ব্যবধান কমাতে মরিয়া তখন প্রথমার্ধেই তাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় স্পেন। যোগ করা সময়ে (৪৫+২) বক্সের ভেতর উঁচু করে লং ক্রস দেন ইয়ামাল। আলতো ছোঁয়ায় ব্যবধান ৩-০ করেন দানি কারবাহাল।
এই নিয়ে চতুর্থবার ইউরোতে প্রথমার্ধেই তিন বা তার বেশি গোলে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো, তাও আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হলো দুইবার। শুক্রবার জার্মানি হাফটাইমের আগে স্কটল্যান্ডের জালে তিনবার বল জড়ায়। আর ফ্রান্স ১৯৮৪ সালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৩-০ ও ২০১৬ সালে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল।
বিরতির পর ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। তবে স্পেনের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। উল্টো স্পেনের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের। ৫২ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়ামাল। তার বাঁ পায়ের শট ক্রোয়েশিয়ান কিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ ঠেকিয়ে দেন।
চার মিনিট পর সেকেন্ডের ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়ার দুটি সুযোগ নষ্ট হয়। কোভাকিচের কাটব্যাক থেকে জোসিপ স্তানিসিচের শট গোললাইনের সামনে ব্লক করেন মার্ক কুকুরেল্লা। ফিরতি বলে হেড করেছিলেন বুদিমির, এবার লাফিয়ে পাঞ্চ করে বল ফেরান সিমন।
৭৮ মিনিটে রদ্রির বিরুদ্ধে ব্রুনো পেতকোভিচকে ফাউলের অভিযোগ এনে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে পেতকোভিচের শট সিমন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও ইভান পেরিসিচ কাটব্যাক করেন। এবার আর পেতকোভিচ মিস করেননি, জালে বল জড়িয়ে দেন। কিন্তু ভিএআরে গোলটি বাতিল হয়। কারণ ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড শুট করার মুহূর্তে বক্সে ঢুকে পড়েন খেলোয়াড়রা।
এবারের ইউরো দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা খরা ঘোচানোর স্বপ্ন দেখছিলেন লুকা মদরিচ। তবে টুর্নামেন্টের শুরুটা অবশ্যই ভুলে যেতে চাইবেন ক্রোয়েশিয়ার সোনালি সময়ের এই ফুটবলার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।