স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল পর্তুগালের। দলের বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একাই মিস করেছেন প্রায় হাফ ডজনের মতো গোলের সুযোগ। সেই সুযোগে চেক প্রজাতন্ত্র গোল করে এগিয়ে যায়। তবে পর্তুগাল সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে যাচ্ছিলো ঠিক সেসময় বদলি ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও হয়ে যান দলের ত্রাতা। তাতে করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে উচ্ছাসে মেতেছে রোনলদোরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এফ গ্রুপে প্রথম ম্যাচেই লাইপজিগে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন পেপে। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় এখন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। বৃষ্টিসিক্ত ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে খেলতে নামা পেপের বয়স ৪১ বছর ১১৩ দিন। ভেঙেছেন হাঙ্গেরির গ্যাবর কিরাইয়ের ৪০ বছর ৮৬ দিন বয়সে খেলার রেকর্ডটি। রেকর্ড ভাঙার দিনে কিনা পর্তুগালকে ম্যাচ জিততে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। ৭৫ ভাগ বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ গড়েও গোল আসছিল না। কোনও সময় রোনালদোদের ব্যর্থতায় আবার চেক প্রজাতন্ত্রের গোলকিপারও দারুণ সেভ করেছেন।
ম্যাচের ৮ মিনিটে পর্তুগাল সুযোগ পায়। সতীর্থের ক্রসে রোনালদো লাফিয়ে উঠে হেড করেছিলেন, তবে দুর্ভাগ্য, বল চলে যায় পোস্টের বাইরে। ২৬ মিনিটে সতীর্থ ক্রসে রাফায়েল লিও পা ছোঁয়াতে পারেনি। ৬ মিনিট পর সতীর্থের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বক্সের ভেতরে রোনালদো চলতি বলে পা চালিয়ে দেন, তবে তা গোলকিপারের শরীরে লেগে প্রতিহত হলে গোল পাওয়া হয়নি। একটু পর রোনালদোর ব্যাক পাস থেকে ভিতিনহার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৪৫ মিনিটে ক্যান্সেলোর পাসে রোনালদোর জোরালো শট গোলকিপার প্রতিহত করলে বিষণ্ন মনে ড্রেসিংরুমে যেতে হয়েছে পুরো দলকে।
বিরতির পরও পর্তুগালের দাপট চলতে থাকে। তবে ঠিকানা খুঁজে পেতে কম কষ্ট করতে হয়নি। বরং চেক প্রজাতন্ত্র সুযোগ পেয়ে আগে গোল করে লিডও নেয়। ৫৮ মিনিটে রোনালদোর নেওয়া ফ্রি-কিক জায়গা থেকে একটু সরে এসে গোলকিপার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তালুবন্দি করেন। ৬২ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে চেক প্রজাতন্ত্র এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে বল ঘুরে আসা বল পেয়ে পাস বাড়িয়েছিলেন ভ্লাদিমির কোফল, বক্সের বাইরে থেকে লুকাস প্রোভড ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান। গোলকিপার বলের লাইনে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি। তাদের এগিয়ে যাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৯ মিনিটে পর্তুগাল সমতায় ফেরে, আত্মঘাতী গোলে। ৬ গজের প্রান্ত থেকে নুনো মেন্ডেসের হেড গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠিকমতো প্রতিহত করতে পারেননি, সামনে থাকা নিজেদেরই খেলোয়াড় রবিন হেরানাকের পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। জিততে তখন মরিয়া পর্তুগাল। ৭৮ মিনিটে রোনালদোর পাসে ভিতিনহার জোরালো শট স্টানেক সেভ করেন। ৮৭ মিনিটে বল জালে জড়ালেও ভার (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) দেখে তা বাতিল হলে সমর্থকরা হতাশ হয়। রোনালদো নিজেই ছিলেন অফসাইড পজিশনে! তবে যোগ করা সময়ে পর্তুগালের সমর্থকদের হাসি। ভিতিনহার জায়গায় নেমে ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও পোস্টের সামনে থেকে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন। উৎসব তখন থেকেই শুরু।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।