রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই। শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। যে উত্তেজনার লড়াইয়ে স্নায়ু ধরে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার এইটের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে তারা হারালো ৭ রানে।
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। উইকেটে ছিলেন মারকুটে হাফসেঞ্চুরি করা হ্যারি ব্রুক। অ্যানরিখ নরকিয়ার প্রথম বলটিই তুলে মারলেন ব্রুক। কিন্তু সেটি বাউন্ডারি পার হলো না। মিডঅন থেকে দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত এক রানিং ক্যাচ নিলেন এইডেন মার্করাম। ৩৭ বলে ৭ চারে ব্রুক ৫৩ করে ফিরতেই যেন ম্যাচটি চলে এলো দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে।
শেষ ৯ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১০১ রান। হাতে ৬ উইকেট। টানা ২৬ বল বাউন্ডারি পায়নি ইংলিশরা। সেখান থেকে লিয়াম লিভিংস্টোন আর হ্যারি ব্রুকের মারকুটে জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো।
১১ ওভার শেষে ওভারপ্রতি ১১-এর ওপর দরকার ছিল। ব্রুক আর লিভিংস্টোন গড়লেন ৪২ বলে ৭৮ রানের জুটি। ম্যাচটা অনেকটা নাগালে নিয়ে আসেন তারাই।
৩ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার পড়ে ২৫। ১৮তম ওভারে এসে মারকুটে জুটিটি ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। বড় শট খেলতে গিয়ে লিভিংস্টোন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে হন ক্যাচ। ১৭ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় তিনি করেন ৩৩ রান। ওই ওভারে রাবাদা দেন মাত্র ৪ রান।
ফলে শেষ দুই ওভারে ২১ লাগে ইংল্যান্ডের। ইংলিশদের ভরসা হয়ে ছিলেন সেট ব্যাটার ব্রুক, ৩৪ বলে তিনি পূরণ করেন ফিফটি। কিন্তু শেষটায় তুলির আঁচড় দিতে পারলেন না। তীরে এসে তরি ডুবলো ইংল্যান্ডের।
এর আগে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ছিল বিনা উইকেটে ৬৩ রান। পরের ১৪ ওভারে ১০ উইকেট হাতে রেখেও ৮৪ বলে মোটে ১০০ রান তুলতে পারলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
গ্রস আইলেটে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। প্রোটিয়ারা উড়ন্ত সূচনা পায় মূলত কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩৮ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় খেলেন ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
ওপেনিং জুটিতে রিজা হেনড্রিকসকে নিয়ে ৮৬ রান তোলেন ডি কক। এর মধ্যে হেনড্রিকসের তেমন কোনো অবদান ছিল না। ২৫ বল খেলে তিনি করতে পারেন মাত্র ১৯।
এরপর ডেভিড মিলার ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরের ব্যাটাররা বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। ইনিংসের শেষ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮ রান নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা, থামে ১৬৩ রানেই।
ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।