ইতালি-সুইজারল্যান্ড দুই দলই গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোতে উঠেছে। তবে ইতালির গ্রুপ রানার্সআপ হওয়াটা ছিল বেশ কষ্টের। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ইনজুরি সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল করে দ্বিতীয় হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে হাঙ্গেরিকে হারিয়ে ও স্কটল্যান্ড ও জার্মানির বিপক্ষে ড্র করে শেষ ষোলতে সুইজারল্যান্ড। শনিবার এই দল মুখোমুখি হচ্ছে নকআউট পর্ব শুরুর দিনে।
বার্লিনে এই ম্যাচে ফেবারিট কারা? এই প্রশ্নের বেশিরভাগ উত্তরই যাবে ইতালির পক্ষে। দুই দেশের ফুটবল ঐতিহ্য, সাফল্য মিলিয়ে তফাৎ অনেক। এমন কি দুই দেশের অতীত মুখোমুখিতেও। ৬০ বার দেখা হয়েছে ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের। ২৯ বার জিতেছে ইতালি। ৭ বার সুইজারল্যান্ড। আর ইতালির বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের সর্বশেষ জয় ৩১ বছর আগে।
১৯৯৪ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ফিরতি লেগে ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। ম্যাচটি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। তারপর ৩১ বছর ধরে ইতালির বিপক্ষে জয়ের খোঁজে সুইজারল্যান্ড। সেই আক্ষেপ ঘুচছেই না।
১৯৯৩ সালে ওই জয়ের পর ইতালির বিপক্ষে ১১ ম্যাচ খেলে কখনোই জয়ের আনন্দ করতে পারেনি সুইসরা। ৫ টি হেরে ৬ টি ড্র করেছে। সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইতালি জিতেছিল ৩-০ গোলে। আর সর্বশেষ দুই সাক্ষাতের দুটিই ড্র হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে প্রথম লেগ গোলশূন্য ও ফিরতি লেগ ১-১ গোলে ড্র করেছিল দুই দল।
বড় আসরে ইতালির খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া নতুন নয়। আবার সব সময়ই আজ্জুরিরা চমক দেখানোর সক্ষমতা রাখে। সর্বশেষ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন ইতালি। এই দলটিই আবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপে। চ্যাম্পিয়নের লেবাস গায়ে দিয়ে জার্মানিতে চলমান ইউরোতে কোথায় গিয়ে থামবে সেটাই এখন দেখার।
প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে ইতালির। শিরোপা ধরে রাখতে জিততে হবে আরো চারটি ম্যাচ। শেষ ষোলোর ম্যাচ সু্ইজারল্যান্ডকে হারাতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের দেখা হয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ডের সাথে। সেটা হলে গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের লড়াইটা এবার ফয়সালা হবে আগেভাগেই।
আলবেনিয়ার কাছে ২৩ সেকেন্ডে গোল খেয়ে ২-১ ব্যবধানের জয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল ইতালি। স্পেনের কাছে হেরে ও ক্রোয়েশিয়ার কাছে শেষ মুহূর্তে হার এড়িয়ে উঠেছে শেষ ষোলোতে। এবার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের নকআউট পর্বের প্রথম বাধা পড়শি দেশ সুইজারল্যান্ড।
নকআউট পর্বে উঠলেও দলের আক্রমণভাগ নিয়ে খুশি নন ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি। তিন ম্যাচে মাত্র তিন গোল করেছেন ফরোয়ার্ডরা। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাই কৌশল সাজাতে ব্যস্ত আজ্জুরিদের কোচ। একাদশে দুই একটা পরিবর্তন নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।