স্পোর্টস ডেস্ক : বরাবরের মতো ব্যর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ আসর শেষ করে দেশে ফেরার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।
গতকাল সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার পেসার বলেন, ‘দুই জন সিনিয়র ক্রিকেটারের অফফর্ম আমাদের দলে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব ফেলেনি, কেননা মাঠের বাইরে তারা ভালো সতীর্থ। আল্লাহর রহমতে এই যে ৪৭ দিন সবাই একসঙ্গে ছিলাম। সবার ব্যবহার খুব ভালো ছিল। মাঠের বাইরে তো সব ঠিকই ছিল। কিন্তু আসলে দলের প্লেয়াররা অফফর্মে থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুতই সব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব আমরা।’ যদিও ব্যর্থতার গল্পে ভরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটানোর পরও এ ফরম্যাটে নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে তাসকিন শোনালেন আশার বাণী। বললেন, ‘ধীরে ধীরে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পরিসংখ্যান শুরু থেকে খুব একটা ভালো ছিল না। আগের থেকে তো উন্নতি হচ্ছে। শুধু মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিই তো মাইনাসে আছি আমরা। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তো করেই যাব, আপনারা হতাশ হচ্ছেন স্বাভাবিক, আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দিব, বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’
এদিকে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যর্থতার পাশাপাশি নিষ্প্রাণ ছিল দলের পুরো ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টই। প্রতিটা ম্যাচেই ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটারদের দায়িত্ব ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। কেবল তাওহীদ হৃদয় ছাড়া নিজেদের আর মেলে ধরতে পারেননি কেউই। দলের সহকারী অধিনায়কও মেনে নিয়েছেন বিষয়টি। বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটারদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটার, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল। তো ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর একটু ভালো উইকেটে খেলছি আমরা। কিন্তু তাও আসলে, এত লম্বা...কখনোই আমি ক্রিকেট খেলার পর, বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষ ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনো এরকম লম্বা ব্যাটিংয়ে খারাপ সময় দেখিনি। আশা করি এটা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে।’
তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতা থাকলেও বোলাররা ছিল দুর্দান্ত। রং ছড়িয়েছেন, আসর জুড়ে দেখিয়েছেন নিজেদের সামর্থ্য। তাতে চলমান টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নেন দুই বোলার। রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান। আসরে ১৪ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ। পেসার তানজিম সাকিবও দেখিয়েছেন ঝলক। বল হাতে এই পেসারের উইকেট সংখ্যা ১১টি। তাদের পারফরম্যান্সে বেশ সন্তুষ্ট তাসকিন। বলেন, ‘মাশআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেট শিকারির মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনো আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশআল্লাহ। এটা খুব পজিটিভ সাইন, বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যৎ তারকারা উঠে আসবে। ইতিমধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দক্ষতা আছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।