পর্দা নামতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসরের। শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সময় রাতে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর।
ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারই প্রথম আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টের ফাইনালে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ট্রফি জিতলে এটিই হবে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ।
ফাইনালের আগে আলোচনা চলছে দুই দলের অধিনায়ককে নিয়েও। ১১ বছর ধরে আইসিসির কোনো শিরোপা নেই ভারতের। ২০১৪ সালের পর থেকে পাঁচটি ফাইনাল খেললেও সবগুলোতেই হার ছিল সঙ্গী। সর্বশেষ গতবছর নিজেদের ঘরের মাঠেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে দলটি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যর্থতার পর এক বছরের মাথায় আরও একটি ফাইনাল। আর দুটি ফাইনালেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। সেখানেও হেরেছে দলটি।
এক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা এগিয়েই রাখা যায় প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে। কারণ বিশ্বকাপের যেকোনো ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে যে এখনও হারেননি তিনি।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত আটটি করে ম্যাচ খেলে সবগুলো ম্যাচই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিটি ম্যাচেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মার্কারাম। অধিনায়ক হিসেবে মার্করামকে বিশ্বকাপে দেখা গেছে ২০২৩ সালে। সেবার টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাজির হয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু মাঝপথে ইনজুরিতে আক্রান্ত হন বাভুমা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন মার্করাম। দুই ম্যাচের জন্য ছিলেন অধিনায়ক। দুটিতেই জয় পায় দল।
তার আগে যুব পর্যায় থেকেই শুরু মার্করামের জয়যাত্রা। অধিনায়ক হিসেবে ২০১৪ সালে যুব বিশ্বকাপ খেলেছেন মার্করাম। সেবার ৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরাজিত হয়েই যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে তারা।
সবমিলিয়ে বৈশ্বিক ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অধিনায়ক এখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। যুব বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সবমিলিয়ে ১৬ ম্যাচ অপরাজিত অধিনায়ক মার্করাম।
ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ৭ বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে প্রোটিয়ারা। প্রতিবারই সঙ্গী ব্যর্থতা। খেলা হয়নি ফাইনাল। এবারই প্রথমবার ফাইনালে তারা। আর শিরোপা জিতেল অধিনায়ক মার্কারামের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম কোনো দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ তাদের সামনে।
একই সুযোগ অবশ্য ভারতের সামনেও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই এবারের আসরে এখন পর্যন্ত আটটি করে ম্যাচ খেলে সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ভারত। তাই ফাইনালে যে দল জিতবে তারাও অপরাজিত হিসেবেই ট্রফি জিতবে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের ফলাফল অমীমাংসিত থাকলে দুই দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রেও অপরাজিত হিসেবে ট্রফি উঠবে দুই অধিনায়কের হাতে।
এর আগে শ্রীলঙ্কা ২০০৯ সালে, অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সালে এবং ভারত ২০১৪ সালে পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।