স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশছাড়া তারা। অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে জীবন কাটাচ্ছে আফগানিস্তানের ১৭ নারী ক্রিকেটার। পুরুষেরা বিশ্বকাপে নজর কাড়লেও নারীদের ক্রিকেট বন্ধ। আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে নারী ক্রিকেট দল থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা আপাতত নেই আফগানদের। বন্ধ হওয়ার তিন বছরেও সরকার থেকে অনুমতি না মেলায় এবার শরণার্থী দল হিসেবে ক্রিকেট খেলতে চায় দলটির মেয়েরা।
বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রশিদ খানদের খেলা দেখে আরও উদ্বুদ্ধ হয়েছে তারা। তাই আইসিসি’র কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। একটি চিঠিতে তারা লিখেছে, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের পুরুষদের দল যে কীর্তি করেছে তাতে আমরা গর্বিত। প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার জন্য দলের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আমাদের মনে একটা দুঃখও আছে। পুরুষদের মতো আমরা দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি না। যেহেতু আমরা বিদেশে রয়েছি তাই আফগানিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি না। তাই আমরা আইসিসিকে আবেদন জানাচ্ছি, অস্ট্রেলিয়ায় একটি শরণার্থী দল তৈরি করা হোক।’ চিঠিতে তারা আরও বলেছে, ‘আফগানিস্তানের সরকারি নীতির কারণে, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসি তাদের জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেনি। আমরা এসিবি’র ব্যানারে খেলার দাবি জানাচ্ছি না। অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী দল হিসেবে নিজেদের ক্রিকেট প্রতিভা দেখাতে চাই। আফগান নারীদের যারা ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু আফগানিস্তানে পারছে না। তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে উৎসাহিত করবে। আইসিসি থেকে অনুমোদন ও আর্থিক সহায়তা পেলে দুর্দান্ত অর্জনগুলোর প্রদর্শন করতে চাই।’
শরণার্থী দল গঠন করার উদ্দেশ্যও খোলাসা করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, ‘শরণার্থী দল গঠনেরে মূল উদ্দেশ্য, আমাদের প্রতিভা বিকাশ করা এবং প্রদর্শন করা। আফগানিস্তানে থাকা নারীদের স্বপ্ন দেখানো এবং নারীরা সেখানে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছে, তা তুলে ধরা।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।